আমাদের ভারত, হুগলী, ২৬ সেপ্টেম্বর: জেলা স্কুল পরিদর্শক ও ব্লক আধিকারিককে ঘিরে বিক্ষোভ পান্ডুয়ার রাধারাণী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায় পরিস্থিতি।
অভিভাবকদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে ছাত্রীরা ট্রান্সফার সার্টিফিকেট পাচ্ছে না। প্রতিবারই স্কুলের তরফ থেকে ছাত্রীদের নতুন নতুন তারিখে স্কুলে আসার জন্য জানানো হয়। কিন্তু সকলে স্কুলে এলেও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। গত সোমবার হুগলীর জেলা স্কুল পরিদর্শক নজরুল হক সিপাহী এসে সকলকে আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি নিজে থেকে সকল ছাত্রীদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট সংক্রান্ত সমস্যা মিটিয়ে দেবেন। কিন্তু শনিবার তিনি স্কুলে উপস্থিত হলেও, স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকারা। বারংবার ডিআই কে অভিযোগ জানিয়েও কোনো কাজ না হওয়ায় এদিন চরম বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ডিআই নজরুল হক সিপাহীকে।
ঘটনাস্থলে পান্ডুয়ার বিডিও সাথী চক্রবর্তী উপস্থিত হয়ে
ডিআইকে নিয়ে চলে যাবার চেষ্টা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অভিভাবকরা। ডিআই সহ বিডিওর গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অভিভাবক সহ ছাত্রীরা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তাদের আটকে রাখা হয়। রাস্তার উপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পান্ডুয়া থানার পুলিশ। বিডিও ও ডিআই সকলকে আবার আশ্বস্ত করেন, আগামী সোমবার পান্ডুয়ার বিডিও অফিস থেকে সমস্ত সমস্যার সমাধান করে দেওয়া হবে। আশ্বাস পেয়ে ৪ ঘণ্টা পর অভিভাবকদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
কিন্তু এত কিছুর পরও প্রশ্ন থেকে যায় যেখানে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন সেখানে স্কুলের শিক্ষিকারা কিভাবে নিজেদের ঔদ্ধত্য দেখিয়ে দিনের পর দিন স্কুলে না এসে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করেন! কেন এত দিন ধরে তাদের এ হেন আচরণ সত্বেও প্রাশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না! কেন তাদের নিজেদের গোষ্টী কোন্দলের শিকার ছাত্রী সহ অভিভাবকরা হবেন তার কোনও উত্তর প্রশাসনের কাছে আছে কি?