
সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৩ ডিসেম্বর:
সদ্য রাজ্যসভা ও লোকসভায় বিপুল ভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। আর তার জেরে এবার জ্বলে উঠল কলকাতাও। ক্যাবের বিরোধীতায় শহরে কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভ দেখায় ১৭ টি সংখ্যালঘু সংগঠনগুলোর সদস্যরা। শুক্রবার দিনের ব্যস্ত সময়ে ধর্মতলা থেকে পার্ক সার্কাস বিক্ষোভের জেরে অচল হয়ে পড়ে। এদিন ওয়েলিংটন মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার দুপুরে একাধিক মুসলিম সংগঠনের ডাকে নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসির বিরুদ্ধে মিছিল শুরু হয় টিপু সুলতান মসজিদের সামনে থেকে। পার্ক স্ট্রিট মোড় হয়ে মিছিল পৌঁছায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। এরপর সেখানে সভায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠনের নেতারা। যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলায় এনআরসি, সিএবি কার্যকর হবে না। অভয় দিয়ে মমতা আরও বলেন, “কেন্দ্র যতই আইন পাশ করুক। তা কার্যকর করে রাজ্য সরকার। বাংলার সরকার ওই আইন কার্যকর করবে না।” ওই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষকে রাস্তায় নেমে এই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। তার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই রাস্তায় নামে সংখ্যালঘু সংগঠনগুলি।
ধর্মতলার মঞ্চ থেকে এদিন সংখ্যালঘু সংগঠনগুলির নেতারা বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ভারতের মুসলমানদের নিশানা করেছে। এই আইন সরাসরি মুসলমানদের বিরুদ্ধে। সংবিধানের তোয়াক্কা না করেই এই আইন পাশ করানো হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।
এদিন লালবাজারে যুগ্ম কমিশনার সদর জাভেদ শামিম বলেন, পার্ক সার্কাসে দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত অবরোধ বিক্ষোভ হয়েছে। যুগ্ম কমিশনার এসটিএফ প্রদীপ যাদব পরিস্থিতি দ্রুততার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। ধর্মতলায় টিপু সুলতান মসজিদের সামনে কিছু লোকের মিটিং হয়েছে। এছাড়াও কাচ্চি সড়ক, ওয়েলিংটন, বেলগাছিয়া ইন্দ্র বিশ্বাস রোডেও এদিন মিছিল হয়েছে। বেলগাছিয়াতে ২৫০০ জনের মিটিং হয়েছে। মোট ১৭ টা সংখ্যালঘু সংগঠন একযোগে এই সমস্ত মিছিল মিটিং করছে।