নিকাশীর দাবিতে তমলুকের সেচ দপ্তরে বিক্ষোভ

আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১১ ডিসেম্বর: তমলুক মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ সোয়াদিঘি খাল আগামী বর্ষার পূর্বে পূর্ণ সংস্কার এবং খালের ভেতরে সমস্ত অবৈধ নির্মাণ বন্ধে অবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ সহ ৭ দফা দাবিতে আজ সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতির পক্ষ থেকে সেচ দপ্তরের পূর্ব মেদিনীপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অফিস এলাকার অধিবাসীরা বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচিতে সামিল হন। এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে তারা একটি স্মারকলিপিও দেন।

উপরোক্ত দাবিগুলি ছাড়াও অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে অন্যতম হল- শাখা খালগুলি সহ সমস্ত নিকাশী খালের সংস্কার করে অবিলম্বে জল নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা, দেনান-দেহাটি লকগেটের মতো চাবি তালার ব্যবস্থা করে গেট নিয়ন্ত্রণ, লকগেটের সামনের দিকে থেকে নদী মুখ পর্যন্ত সোজাসুজি খনন, নদীর চরের ভিতরে গড়ে ওঠা মাছের ঝিল বন্ধ করে দ্রুত জলনিকাশির ব্যবস্থা, জমি জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ, খালের উপর নির্মিত সমস্ত কাঠের ব্রিজগুলি কংক্রিটের করা প্রভৃতি। এই দাবির ভিত্তিতে শতাধিক ভুক্তভোগী মানুষজন মানিকতলা মোড় থেকে মিছিল করে সেচ দপ্তরের জেলা অফিসের গেটে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সোয়াদিঘি খাল সংস্কার সমিতির সম্পাদক মধুসূদন বের়া, সহ-সভাপতি উত্তম মাইতি, সহ সম্পাদক স্বপন সামন্ত প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন্যা প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক। দপ্তরের নির্বাহী বাস্তুকার আজকেই অবৈধ নির্মাণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। আগামী বর্ষার আগে যাতে খালটি সংস্কার হতে পারে সেজন্য আগামীকালই দপ্তরের উচ্চপদস্থ ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কথা বলতে যাবেন বলে প্রতিনিধিদলকে জানান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোয়াদিঘি খাল দিয়ে তমলুক মহকুমার শহিদ মাতঙ্গিনী, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, তমলুক ব্লকের প্রায় শতাধিক মৌজার জল নিকাশি হয় এবং খালের জলে বোরো চাষ হয়। গত বর্ষার তিন মাস পরও সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলিতে আজও হাঁটুসমান জল জমে রয়েছে।
মধুসূদনবাবু জানান, আলোচনা মত দপ্তর ও প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে ভুক্তভোগী মানুষজন জাতীয় সড়ক অবরোধের ডাক দিতে বাধ্য হবে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here