পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১২ মার্চ: আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ ডেবরা ব্লকের শ্যামচকে তৃণমূলের এসটি শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এসটি ভোটকে একত্রিত করার জন্য এই সম্মেলন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু, এসটি শাখার জেলা সভাপতি পিকু মান্ডি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশীষ হুদাইত, স্থানীয় বিধায়ক ড: হুমায়ূন কবির, জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কণিকা মান্ডি, ব্লক সভাপতি বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্ব।
এই সম্মেলনে বিধায়ক হুমায়ূন কবির বলেন যে, আদিবাসীদের শিক্ষিত হতে হবে আগে, শুধুমাত্র অলচিকি ভাষা ছাড়াও অন্যান্য ভাষাও জানতে হবে। কেন আদিবাসী ছেলে মেয়েরা প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হতে পারবে না? স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও শুধুমাত্র আদিবাসী বলে পিছিয়ে থাকলে চলবে না, নিজেদের জাতিসত্ত্বা বাঁচিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রশাসনিক ক্ষমতার অংশীদার হতে হবে। আমাদের রাজ্য সরকার আদিবাসীদের জন্য অনেক গঠনমূলক পরিকল্পনা করেছে তার সুবিধা গ্ৰহণ করতে হবে। জেলা সভাপতি আশীষ হুদাইত বলেন যে,
সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপির প্ররোচনায় পা দিতে না, ওরা আদিবাসীদেরকে ভুল বুঝিয়ে সেই পুরনো দিনের মতো তীর ধনুক নিয়ে আপনাদের নিয়ে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে, আপনারা আমাদের রাজ্য সরকারের উপর আস্থা রাখুন এবং আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের হাত শক্তিশালী করার আহ্বান জানাই।
রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, লাল ঝান্ডধারী
সিপিএম এবং গেরুয়া বসনধারী বিজেপি একজোট হয়ে আদিবাসীদের আবার অন্ধকার দিনে নিয়ে যেতে চায়, কিন্তু এখন তা সম্ভব নয়, এই রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের জন্য অনেক কাজ করেছেন, তিনি আমাদের ধর্মকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, আমাদের মেয়েরা কণ্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষিত হচ্ছে, এর ফলে বাল্যবিবাহ কম হচ্ছে, সুতরাং আমরা কি কারণে সরকারের বিরুদ্ধে যাব? আর মন্ত্রী শোভনদেব চট্টপাধ্যায়ের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করছে কিছুজন, এই সব করে কিছু লাভ হবে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী সমাজ তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকবে।