জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১১ আগস্ট: শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর ১১৩তম আত্মোৎসর্গ দিবসে এআইডিএসও’র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে ক্ষুদিরামের জন্মস্থান হবিবপুরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়াও জেলার খড়গপুর, বেলদা, দাঁতন, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরাতে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি পালিত হয়। হবিবপুরে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি বিশ্বরঞ্জন গিরি, সম্পাদক ব্রতীন দাস ও অন্যান্য জেলা নেতৃবৃন্দ। তাঁরা সকলেই শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। যথাসম্ভব স্বাস্থ্য বিধি মেনে সংক্ষিপ্ত সময়ের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মণিশঙ্কর পট্টনায়ক বলেন, আজকের দিনে যারা সমাজ প্রগতির আন্দোলনের সঙ্গে এগোতে চাইবেন তাঁদের ক্ষুদিরাম বসু সহ দেশ বিদেশের নবজাগরণ ও বিপ্লবী আন্দোলনের পথিকৃৎদের চরিত্র থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদিরাম বসু কেবলমাত্র একটি নাম নয়, তাঁর ফাঁসির মঞ্চে আত্মাহুতি নিছক একটি আত্মত্যাগ নয়, ক্ষুদিরাম বসু বিপ্লবী প্রাণের প্রতীক। আমাদের মতো বিপ্লবী ছাত্র সংগঠনের কাছে প্রেরণা। ক্ষুদিরাম বসুর আত্মদান পরাধীন ভারতবর্ষের সুপ্ত জাতির ঘুম ভাঙ্গিয়ে ছিল। বৃটিশ শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তিনি। আজকের শাসকরা এই সমস্ত মহৎ চরিত্র গুলোকে ভুলিয়ে দেওয়ার নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান ধনতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার কারণেই সমাজ বিকাশের দ্বার আজ রুদ্ধ হয়ে রয়েছে। অনাহার, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু, নারীর আর্তনাদ, বেকারী, ছাঁটাই সব মিলিয়েই ভারতবর্ষের আসল চিত্র। ফলে ক্ষুদিরামের স্বপ্ন, সাধনা এখনো সফল হয়নি।এই ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা উচ্ছেদ করার সংগ্রামে যাঁরা অংশগ্রহণ করবেন তাঁদেরকে সংগ্রামের একটা বিশেষ স্তর পর্যন্ত ক্ষুদিরাম বসু সহ নবজাগরণের মনীষী ও বিপ্লবীদের জীবন সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিতে হবে। এঁদের জীবন সংগ্রাম থেকে নেওয়া শিক্ষাই হবে আমাদের সংগ্রামের পাথেয়।