নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বিচারিতার অভিযোগ অজিত মাইতির

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৩০ মার্চ: আজ তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের পথশ্রী প্রকল্পের সমর্থনে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। শহরের বিদ্যাসাগর হলে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক বৈঠকে জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, দেশের মধ্যে একমাত্র আমাদের এই রাজ্য সরকারের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই কেউ। তিনি সারাদিন সাধারণ মানুষের স্বার্থে নানা কাজ করেন। এই পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে গ্ৰামবাংলার রাস্তাঘাটের উন্নতি হবে। তা ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি এবং জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, বাম আমলে সিপিএমের আত্মীয়দের মধ্যে কম করে ৫০০ জনের বিনা সাক্ষাৎকারে চাকরি হয়েছে।

পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন অজিত মাইতি। তিনি বলেন, রেল, এইমসের বিভিন্ন জায়গাতে ক্যাজুয়ালের নামে বিজেপি নেতার আত্মীয়দের ঢোকানো হচ্ছে। অজিত মাইতি বলেন, “৩৪ বছরের শাসনে বামফ্রন্টের লোকজন কত আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন, কত চিরকুটে চাকরি হয়েছে তার প্রমাণ মিলেছে। একা সুশান্ত ঘোষের পরিবারেই ২২ জন চাকরি পেয়েছেন। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই কম করে ৫০০ জন চাকরি পেয়েছেন যাঁরা সিপিএম নেতাদের আত্মীয়। এগুলো তদন্ত হলেই বোঝা যাবে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “অনেক সিপিএম নেতারা নেচেছেন তৃণমূল নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত বলে। নিয়োগ দুর্নীতিকে আমরাও সমর্থন করি না। আইন আইনের পথেই চলবে। কিন্তু সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী ইন্টারভিউ ছাড়া চাকরি পেয়েছেন কেন? তিনি কাস্টডিতে যাবেন না? সুশান্ত ঘোষের পরিবার ২২ টা চাকরি পেয়েছে ইন্টারভিউ ছাড়া। তাঁর বাড়ির কুকুর বিড়াল গুলো পর্যন্ত পেয়েছে। ঘাটালের সিপিএম নেতা ইসরায়েল ছয় খানা চাকরি, মেদিনীপুরের এক সিপিএম নেতা ছয় খানা চাকরি দিয়েছে। আর ইন্টারভিউ ছাড়া ৩০০ ছেলের চাকরি দিয়েছেন। শুধুমাত্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০ জনকে চাকরি দিয়েছে সিপিএম ইন্টারভিউ ছাড়া। মেদিনীপুর কলেজে এক সময়ে ৮২ জনকে চাকরি দিয়েছে ইন্টারভিউ ছাড়া। ফলে তাদের গলায় নিয়োগ দুর্নীতি মানায় না।”

তিনি আরও বলেন, “মহামান্য এমপি রেলওয়ে ক্যাজুয়ালে, ওয়ার্কশপে, ডিআরএম অফিসে বহু মানুষকে ঢুকিয়েছেন গঙ্গাজলে ধুয়ে। হিরণের সঙ্গে তার ঝগড়া এই জায়গায়। ঠিকাদারদের ব্যাপার নিয়ে, আর চাকরির ব্যাপার নিয়ে। তারা কি সব তদন্তের ঊর্ধ্বে? তারা কেন এই তদন্ত কমিটির বাইরে থাকবে। যারা বেশি গলাবাজি করছে নিয়োগ নিয়ে একটু গভীরে দেখলে বোঝা যাবে সমস্ত নিয়োগ তাদের হাত ধরে হয়েছে।” এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলেছেন অজিত মাইতি।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here