আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ২৮ নভেম্বর: কেন্দ্রীয় বাজেটের আগে শনিবার ভার্চুয়ালে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের কাছে আলিপুরদুয়ার থেকে দুটি স্পেশাল ট্রেন চালুর দাবি রাখলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলা। একইসাথে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আধিকারিকদের কাছে ১৬ দফা দাবির একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। যেখানে জেলার একাধিক একাধিক রেলগেটে আন্ডারপাস ও ওভারব্রিজ বানানোর দাবি করা হয়।
শনিবার দুপুরে সাংসদ জন বারলা সহ জেলার বিজেপি নেতারা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশন অফিসে যান। সেখানে রেল আধিকারিকদের হাতে ১৬ দফা দাবির স্মারকলিপি তুলে দেন। পরে আলিপুরদুয়ার শহরের বিজেপি-র জেলা পার্টি অফিসে বসে ভার্চুয়ালে রেলমন্ত্রীর কাছে ওই দাবি জানান। রেলমন্ত্রী ওই দাবিগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন বলে জানা গেছে।
কোভিড পরিস্থিতির পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক না হলেও এদিন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ রেলমন্ত্রীর কাছে রেলের ডুয়ার্স রুট দিয়ে আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে গয়া এবং আলিপুরদুয়ার জংশন থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত দুটি স্পেশাল ট্রেনের দাবি জানান। পাশাপাশি ট্রেনের ধাক্কায় বন্য প্রাণীর মৃত্যু রুখতে মাদারিহাটের হলং রেল গেটে এবং যানজট এড়াতে বীরপাড়া বাজারের রেলগেট ও কামাখ্যাগুড়ি ঘোড়ামারা রেলগেটে আন্ডারপাস অথবা ওভারব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান সাংসদ। এছাড়া স্মারকলিপি দিয়ে নিউ আলিপুরদুয়ার রাধামাধব মন্দির থেকে শোভাগঞ্জ পর্যন্ত বেহাল এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার, ফালাকাটা স্টেশনে বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস ও সরাইঘাট এক্সপ্রেসের স্টপজ এবং মাদারিহাট ও বানারহাট স্টেশনে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসের স্টপজের দাবি জানান। অন্যদিকে কামাখ্যাগুড়ির মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে পদাতিক এক্সপ্রেস ও তিস্তাতোর্সা এক্সপ্রেস নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনের বদলে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন থেকে চালানোর দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য আলিপুরদুয়ার জংশন রেলওয়ে হাসপাতালটি দীর্ঘদিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনিশিয়ানের অভাবে ধুঁকছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিন সাংসদ আলিপুরদুয়ার রেলওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান নিয়োগের দাবিও তোলেন। পরে সাংবাদিকদের জন বারলা জানান, “জেলার মানুষের এইসব দীর্ঘদিনের দাবি। তবে আলিপুরদুয়ার থেকে লোকসভা ভোটে নির্বাচিত হয়ে যেসব দলের সাংসদরা দিল্লিতে গিয়েছিলেন তারা কেউ এই দাবিতে অতীতে সরব হননি। শনিবার জেলাবাসীর এই দাবির কথাই রেলমন্ত্রীকে জানিয়েছি।”
এদিকে সাংসদের এই কার্যকলাপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানান, “গত ১বছর ধরে বিরোধী দলের সাংসদকে জেলায় কেউ খুঁজে পায়নি।অতিমারিতে মানুষের পাশে না থেকে সেইসময় সাংসদ শীতঘুমে চলে গিয়েছিলেন। সামনেই বিধানসভা ভোট। তাই এখন এইসব নাটক করছেন সাংসদ।”