“সব জ্বর করোনা নয়” কাজ হয়নি প্রচারে, প্রাণ দিয়ে প্রমাণ দিলেন বনগাঁর বাসিন্দা

সুশান্ত ঘোষ, বনগাঁ, ২৬ মে: জ্বর, পেটব্যাথা, হাই সুগার তার সঙ্গে শরীর দূর্বল। এমনই খবর পেয়ে আতঙ্কে খোঁজ নেয়নি আত্মীয়রা। এক দিকে অসুস্থতা অন্য দিকে করোনার আতঙ্ক, সব শেষে আমফানে দাপটে দোকানপাট বন্ধ। তারই জেরে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঠিকঠাক চিকিৎসা না হওয়ায় মৃত্যু হল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার শক্তিগরের বাসিন্দা সুজিত দে নামে এক ব্যক্তির। মাত্র ৪৯ বছরের ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও ১০ বছরের পুত্র সন্তান নিয়ে সংসার ছিল। পেশায় সব্জি বিক্রেতা।

পরিবার সূত্রের খবর, দীর্ঘ দিন ধরে হাই সুগারে শরীরে বাসা বেধে ছিল বিভিন্ন রোগ। তার উপরে দেশ জুড়ে পড়ল করোনার থাবা। শুরু হল লকডাউন। তার মধ্যে দিয়েই বনগাঁর কালীবাড়ি এলাকায় সবজি বিক্রি করতেন সুজিতবাবু। মাঝে মধ্যেই চারা দিত শরীরের বাসাবাধা বিভিন্ন রোগ। ব্যবসাতেও মন্দা। গত এক মাস ধরে জ্বর, পেটে ব্যাথা ও শ্বাস কষ্টে ভুগছিলেন। এই খবর আত্মীয়দের মধ্যে পৌছতেই, আতঙ্কে ফোনেই খবর সারতেন দাদা, দিদি ও অন্যান্য আত্মীয়রা।

“করোনা হলেই মৃত্যু নয়” “সব জ্বর করোনা নয়” এই কথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রীর পর্যন্ত প্রচার করছেন। তবুও এক প্রকার আতঙ্কেই আত্মীয়রা গাছাড়া দিয়ে সুজিতবাবুর চিকিৎসা করাতে গাফিলতি করেছেন। আর তার শেষ ফল দাঁঁড়ালো মৃত্যু। তাঁর মৃত্যুতে আর একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল “করোনা হলেই মৃত্যু নয়” “সব জ্বর করোনা নয়” এই প্রচার মানুষকে প্রভাবিত করতে পারেনি।

তাঁর স্ত্রী অসীমা দে বলেন, ভাল লেখা পড়া জানি না। লকডাউনের ফলে চিকিৎসাকদের চেম্বার বন্ধ। মৃত্যু দিন ১০ আগে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করি। সব কিছু রিপোর্ট ভাল বলে এক রাত রেখে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়। তার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ে দোকান ভেঙ্গে পড়েছে। বিভিন্ন চিন্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। অসহায় ওই পরিবার সাহায্যের জন্য, এখন সরকারের দিকে তাকিয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *