
আমাদের ভারত, ২৯ মে : সোমবার অর্থাৎ পয়লা জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গির্জা গুরুদ্বার খোলার অনুমতি দিল তৃণমূল সরকার। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেই আজ এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন সব ধর্মীয় স্থানে একসঙ্গে ১০ জনের বেশি ঢোকা যাবে না। কোন ধর্ম স্থানে কোন রকম জমায়েতও করা যাবে না।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, হটস্পট এলাকা থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবহনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অনিয়ম হচ্ছে। আর সেই সূত্র টেনেই তিনি বলেন,”ট্রেনে গাদাগাদি করে যদি এত লোক আসতে পারে,তাহলে মন্দির-মসজিদ খুলতে দোষ কোথায়? বরং এতবড় সংকট থেকে মুক্তি পেতে মানুষ প্রার্থনা করার সুযোগ পাবে। তাই কাল থেকেই মন্দির-মসজিদ খুলে যাবে”। আবার তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি বলেন,”না থাক কাল থেকে খোলার দরকার নেই। অনেকদিন ধরে মন্দির-মসজিদ গুরুদ্বারগুলো বন্ধ রয়েছে। অপরিষ্কার হয়ে থাকতে পারে। পরিষ্কার করতে অন্তত ৭২ ঘন্টা সময় লাগবে। তাই সোমবার মানে পয়লা জুন থেকে বরং খোলা যেতে পারে সব ধর্মস্থান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে কর্ণাটক সরকার কেন্দ্রকে জানিয়েছিল তাদের রাজ্যে ধর্মস্থান খোলার অনুমতি দিক কেন্দ্র। চতুর্থ দফার লকডাউন মেয়াদ শেষ হচ্ছে রবিবার। সূত্রের খবর ঐদিন আবার লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে ঘোষণা হতে পারে। তবে পঞ্চম দফার লকডাউনে অনেক নিয়ম শিথিল করা হতে পারে বলেও খবর। নিয়ন্ত্রিতভাবে ধর্মস্থান খোলার অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র বলেও জানা গেছে। তাই অনেকেই বলছেন কেন্দ্রের এই সম্ভাব্য সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত ছিল। আর সেই জন্যই আগে ভাগেই রাজ্যের ধর্মস্থান খোলার কথা ঘোষণা করল রাজ্য।