খোদ কলকাতায় হিন্দুদের মা শীতলার জাগরণে হামলার অভিযোগ, আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব শুভেন্দু অধিকারী

আমাদের ভারত, ২০ মার্চ: না পাকিস্তান নয়, বাংলাদেশও নয়। খোদ কলকাতার বুকেই মা শীতলার জাগরণ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন হিন্দুরা বলে অভিযোগ উঠল। শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট বাটার কাছে একটি জাগরণ অনুষ্ঠান হচ্ছিল সেখানেই কিছু দুষ্কৃতি হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

জাগরণে উপস্থিত থাকা বেশ কিছু হিন্দুদের মারধর করেছে দুষ্কৃতিরা বলে দাবি করা হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ওই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “এই হচ্ছে আমার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা। এই হল সেন্ট্রাল কলকাতার মতো জায়গার আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি। জাগরণ মঞ্চের উপর হামলা চালানো হলো। কারা হামলা চালিয়েছে এবং কি কারণে চালিয়েছে তা ভিডিওটা দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কলকাতার প্রাণ কেন্দ্রে চালানো হয়েছে এই আক্রমণ। কলকাতার নগরপালকে অনুরোধ করবো এই ঘটনায় যেনো উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন।”

এক মিনিট আট সেকেন্ডের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, চারিদিক লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে আছে। মোবাইলে তোলা ভিডিওতে ভাঙ্গাচোরা চেয়ার জুতো দেখা গেছে। লোকজনকে চেঁচামেচি করতে দেখা গেছে। বেশ কয়েকজনকে এলোপাথারি পাথরও ছুড়তে দেখা গেছে। একজন চিৎকার করে বলছে এখানে যেটা হচ্ছে সেটা ঠিক হচ্ছে না। ভিডিওর নেপথ্যে একজন কথা বলছেন, তিনি বলেছেন,”এখানে জাগরণ চলছিল। ২০০-২৫০ ছেলে এসে হামলা করে। যিনি জাগরণ করছিলেন সেই গায়ককে মারধর করা হয়েছে, মহিলাদের মারধর করা হয়েছে।” তিন চার জন যুবকেও ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। নিজেকে তিনি উত্তর কলকাতা জেলা যুব মোর্চার সহ সভাপতি সুবোধ দাস বলে দাবি করেছেন।

এই ভিডিওর নিচে, যারা টুইট করেছেন তাদের মধ্যে একজন লিখেছেন মিনি পাকিস্তান হয়ে গেছে। এবার বড় পাকিস্তান হয়ে যাবে। উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এবার আমাদের উদ্বাস্ত হয়ে অসমে কিংবা ওড়িশায় চলে যেতে হবে।

অন্যজন লিখেছেন পশ্চিমবাংলায় জঙ্গল রাজত্ব চালাচ্ছে টিএমসি এবং তার সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারী হচ্ছে অসৎ গুন্ডা বদমাইশের থলেদার। অতএব ওই দলের কাছে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র। বাংলার পুলিশ তৃণদলদাসের পরিণত। উচ্চ পর্যায়ের পুলিশ আধিকারিকেরা নেত্রীর হাতের পুতুল। অতএব সুশাসন নৈব নৈব চ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *