সিভিক পাহারায় প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগ কুমারগঞ্জে, চাকরির টোপ দিয়ে টাকা তোলার প্রতিবাদ বেকার ছেলে-মেয়েদের

পিন্টু কুন্ডু , বালুরঘাট, ১৯ জুন: সিভিককে পাহারায় বসিয়ে প্রতারণা চক্র চালাবার অভিযোগ কুমারগঞ্জে। করোনা কালে বেকার ছেলেমেয়েদের অসহায়তার সুযোগ নিয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। দক্ষিন দিনাজপুরের সীমান্ত ঘেঁষা শহরে এমন চক্রের খোঁজ করতেই সংবাদমাধ্যম দেখে পালালো অভিযুক্তরা।

কুমারগঞ্জের মোহনা গ্রাম পঞ্চয়েতের বড়ম এলাকায় এমন ঘটনা ঘিরে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় এলাকায়। স্যোশাল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন নামে ওই সংস্থা এদিন একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে। করোনা কালে সিভিক প্রহরাতেই চলছিল ওই ক্যাম্পটি। সেখানেই বিভিন্ন ব্লকের যুবক যুবতীরা হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের অভিযোগ, এর আগে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ওই সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে। শুধু তাই নয়, একটি করে নিয়োগপত্র সহ আইকার্ডও দেওয়া হয়েছে তাদের, বলে অভিযোগ। কিন্তু দীর্ঘ দিন পরেও তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি হিসাবে কোনও কাজই পাননি তারা।

বিক্ষোভ কারীদের আরো অভিযোগ, গ্রামে গ্রামে গিয়ে সার্ভে সহ একাধিক পদের কথা বলা হলেও কোনও কাজ আজো পায়নি কেউই। উলটে তাদের কাছ থেকে নেওয়া টাকাও ফেরত দিচ্ছে না সংস্থার কর্মকর্তারা। তারই প্রতিবাদে এদিন দুপুরে একত্রিত হয়ে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হন শতাধিক বেকার ছেলে-মেয়ে। চাপে পড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

রুম্পা মন্ডল সাহা, খগেন ভুঁইমালী ও জয়ন্ত মাহাতরা জানিয়েছেন, কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কাছে টাকা তোলা হয়েছিল। সার্ভের নামে গ্রামের লোকেদের কাছ থেকে দশ টাকা করে তুলতে হবে এমন কথাও বলেছিল তারা। কিন্তু দীর্ঘদিন পরেও কোনও কাজ দেয়নি সংস্থা। এদিন তারা টাকা ফেরত চেয়েই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

সংস্থার কর্মকর্তা সুনীল পাহান ও গৌতম পালরা টাকা তোলার কথা স্বীকার করলেও প্রতারণার অভিযোগ মানতে চাননি।

স্বাস্থ্য শিবিরে আসা এক চিকিৎসক দেবদুলাল দে জানিয়েছেন, তিনি চিকিৎসা পরিষেবা দিতে এসেছিলেন। তবে টাকা তোলার বিষয় তাঁর জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *