আমাদের ভারত, শিলিগুড়ি, ১৪ সেপ্টেম্বর: পুরনিগমের ভ্যাকসিন শিবির তৃণমূলের দখল করে নেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হল শিলিগুড়ির ফুলেশ্বরী জগদীশচন্দ্র বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলে। ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে ফুলেশ্বরী মোড়ে রাস্তায় বসে পথ অবরোধ করে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। অনাদিকে ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিধায়ক শংকর ঘোষ।
শিলিগুড়ি পুরনিগমের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ির ২৪ নং ওয়ার্ডের জগদীশচন্দ্র বিদ্যাপীঠ হাই স্কুলে ভ্যাকসিন শিবিরের আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, ভোররাত থেকেই লাইন দিয়েছিল ওই এলাকার বেশ কিছু মানুষ। অভিযোগ, বেলা বাড়তেই তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকারের নেতৃত্বে স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কিছু মানুষকে বের করে দেয় এবং তারা বিজেপি কর্মী সমর্থক বলে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। শুধু তাই নয় বিক্ষোভকারীরা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ফুলেশ্বরী মোড়ে রাস্তায় বসে অবরোধ করে। পরে আবার তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকার ওই ভ্যাকসিন কেন্দ্রে এসে ফের তাদের বিজেপি কর্মী বলে হুমকি দিতে থাকে। শুধু তাই নয় ওই ভ্যাকসিন কেন্দ্রের ভেতরে তৃণমূল যুব এবং ছাত্র সংগঠনের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থকদের ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। যদিও তারা নিজেদের ভলান্টিয়ার বলে পরিচয় দেয়। তবে ওই ভ্যাকসিন কেন্দ্রে কোনও ভলান্টিয়ার রাখা হয়নি বলে জানা গেছে। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে থাকলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ভোর থেকে তারা ভ্যাকসিনের জন্য লাইন দিলেও তৃণমূল নেতারা তাদের লাইন থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বিকাশ সরকার বলেন, সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উসকানিতে কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থক এখানে এসে ভ্যাকসিন কেন্দ্রে গন্ডগোল সৃষ্টি করে। ভ্যাকসিন দেওয়া বন্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। তবে মানুষ রুখে দিয়েছে।
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ড যেখানে বলছে আগে এলে আগে ভ্যাকসিন পাবেন। সেখানে অধিকাংশ ভ্যাকসিন শিবিরগুলি দেখা যাচ্ছে তৃণমূল নেতা কর্মীদের দখলে এবং তারাই সেখানে শিবির পরিচালনা করছে। তাদের পছন্দের লোকেদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। আজও ঠিক একই ঘটনা ঘটল। যার ফলে ওই এলাকার প্রচুর মানুষ লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন পায়নি। এর জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী।