স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া,২০ মে: মাত্র ১০০ টাকা দিতে দেরি হওয়ায় গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক মহিলাকে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ। এছাড়াও করা হয় বাড়ি ভাঙ্গচুর। ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুরের কলেজ মোড় এনএস রোড এলাকার।
অভিযোগ, গতকাল গভীর রাতে ওই এলাকার বাসিন্দা মমতা চক্রবর্তীর বাড়িতে হঠাৎই চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী, এরপর শুরু করে বাড়ি ভাঙ্গচুর, ঘরের ভেতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির মহিলা মমতা চক্রবর্তী ঠেকাতে গেলে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। মমতা চক্রবর্তীর ছেলে ঠেকাতে গেলে তাকেও লোহার বস্তু দিয়ে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে মা মমতা চক্রবর্তী, এরপরই চেঁচামেচি করতেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম অবস্থায় মমতা চক্রবর্তীকে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। জানা যায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মমতা চক্রবর্তী।
তাঁর ছেলে তন্ময় চক্রবর্তীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে পাশের পাড়ার একটি ছেলেকে দিয়ে তার চায়ের দোকানের মিস্ত্রির কাজ করিয়েছিলেন। সব টাকা দিয়ে দেওয়ার পরেও মাত্র ১০০ টাকা দিতে বাকি ছিল। ১০০ টাকার জন্যই গত কয়েকদিন ধরেই তার দোকানের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পাশের পাড়ার ওই যুবক। গতকাল রাতে ধারালো অস্ত্র ও দলবল নিয়ে হঠাৎ বাড়িতে হামলা চালায়, তার পরে গোটা পরিবারকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। এই ঘটনায় শুক্রবার শান্তিপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আহত মমতা চক্রবর্তীর ছেলে তন্ময় চক্রবর্তী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শান্তিপুর থানার পুলিশ।