বিশেষ ইসিএমও চিকিৎসায় ফুসফুস থেকে কাদা বেরোলেও পোলবার পড়ুয়ারা এখনও ভেন্টিলেশনে

সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৫ ফেব্রুয়ারি: পোলবার পুলকার দুর্ঘটনায় সংকটজনক দুই পড়ুয়াকে সবচেয়ে উন্নত মানের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে কোন কার্পন্য করছে না এসএসকেএম। কিন্তু তা সত্বেও পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় জখম দুই ছাত্র এখনও বিপন্মুক্ত নয়। শুক্রবার গ্রিন করিডর করে ঋষভ সিংহ এবং দিব্যাংশু ভকত নামে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই দুই পড়ুয়াকে হুগলি থেকে কলকাতায় নিয়ে এসে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও ওই দুই পড়ুয়ার শারীরিক পরিস্থিতির এখনও খুব একটা উন্নতি হয়নি বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

ঋষভের ফুসফুসে অতিরিক্ত পরিমাণে কাদা-জল ঢুকে যাওয়ায়, ‘এক্সট্রাকর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন’ বা ইসিএমও পদ্ধতিতে বাইরে থেকে পাম্পের সাহায্যে কৃত্রিম ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। দিব্যাংশু ভকতের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। তাকে স্থিতিশীল করে দ্রুত অস্ত্রোপচারের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। এই দুই পড়ুয়ার চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিক্যাল টিম গড়া হয়েছে। যাতে রয়েছেন চেস্ট মেডিসিন, কার্ডিয়ো-থোরাসিক, পেডিয়াট্রিক সার্জারি, নিউরো সার্জারি, সিসিইউ-সহ ৭ বিভাগের চিকিৎসক।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ হুগলির পোলবায় দিল্লি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় পুলকারটি নয়নজুলিতে পড়ে যাওয়ায় আহত হয় ১৬ জন পড়ুয়া। তার মধ্যে ঋষভের ফুসফুসে পাঁক ঢুকে যায়, দিব্যাংশুর মাথায় আঘাত লাগে। শুক্রবার রাতেই এদের গ্রিন করিডর করে কলকাতা নিয়ে আসা হয়। আপাতত এদের দুজনকে দ্রুত সুস্থ করে তোলাই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *