আমাদের ভারত, ৮ ডিসেম্বর: নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ দেশজুড়ে ভারত বনধ পালিত হচ্ছে।বেশ কিছু জায়গায় বনধে ভালো সাড়াও মিলেছে। আর এরই মধ্যে বুধবারের বদলে বনধের সন্ধ্যা বেলাতেই কৃষকদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এর আগে পাঁচবার আন্দোলনরত কৃষকদের সাথে কেন্দ্রীয় সরকার আলোচনায় বসলেও সমস্যার কোনো সুরাহা হয়নি। এরপর বুধবার ফের আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই বনধের দিন সন্ধ্যেবেলাতেই কৃষকদের সাথে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কৃষক নেতার রাকেশ টিকায়েত জানিয়েছেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি ফোন এসেছিল।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। সন্ধ্যে সাতটায় আলোচনায় বসার জন্য আমাদের ডাকা হয়েছে। দিল্লিতে যেসব কৃষক সংগঠন আন্দোলন করছে তাদের নেতারা ওই আলোচনায় বসবেন।”
শনিবারও কৃষক ও কেন্দ্রের মধ্যে আলোচনার কোনো ফয়সালা হয়নি। এর আগেঝ যে কয়েকবার আলোচনা হয় তা ভেস্তে যায়। যদিও কেন্দ্র স্পষ্ট জানিয়েছে কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে কোনো ভাবেই বঞ্চিত করা হবে না। কিন্তু কৃষকরা নয়া তিন কৃষক আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড়। তাদের দাবি এই তিন আইন বলবৎ থাকলে তাদের লাভ কমে যাবে ও তাদের শিল্প সংস্থার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে আন্দোলনকারী কৃষকরা ৩৯ টি পয়েন্টে কৃষি আইনকে ব্যাখ্যা করে দেখিয়েছেন কিভাবে এই আইন কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করছে।
এদিকে দেশের একাধিক রাজ্যে আজকের বনধের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। পাঞ্জাবের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় আজ বন্ধ ছিল। রেল অবরোধ হয়েছে। দোকান বাজার খোলেনি। সরকারি দপ্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ধর্নায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা। চার ঘন্টার চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালিত হয়েছে দিল্লির সীমান্ত সহ অন্যান্য রাস্তায়। একাধিক জায়গায় জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা।