কোলাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষকে বার্তা একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১২ মে: সাধারণ মানুষের কাছে বিজ্ঞানমনস্ক বার্তা দিতে এগিয়ে এলেন ‘দ্য হেরিটেজ’ নামে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা। ঘরে থেকেই ছবির কোলাজের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা তুলে ধরেছেন তাঁরা। স্কুলের ফেফবুক পেজে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক থেকে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে।

বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার জন্য ভারতবর্ষ তথা এ রাজ্য একই পথের যাত্রী। লক ডাউনের কারনে বন্ধ স্কুল-কলেজ। শিকেয় উঠতে চলেছিল পড়াশোনা। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আর পাঁচটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই রামপুরহাট শহরের সি বি এস সি বোর্ডের স্কুল ‘দ্য হেরিটেজ’-র শিক্ষক-শিক্ষিকারা দূরে থেকেও অনলাইনের মাধ্যমে পঠনপাঠন চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই মধ্যে বাড়িতে বসেই নিজেদের সময় বের করে সীমিত ক্ষমতার মধ্যে বৃহত্তর স্বার্থে, বৃহত্তর পরিসরে সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা থেকে নিভৃতে থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিজ্ঞানমনস্ক বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের কাছে ওই বার্তা পৌঁছে দিতে ইংরেজিতে লেখা “লেটস ফাইট এগাইনস্ট কোভিড ১৯। প্লিজ স্টে এট হোম ফর দ্য পিপল ইউ লাভ এন্ড কীপ সোশ্যাল ডিসট্যান্স ট্যু ব্রেক দ্য চেইন’। যার বাংলা অর্থ হল করোনা কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করা যাক। যাদের আপনি ভালোবাসেন অনুগ্রহ করে তাঁদের জন্য ঘরে থাকুন। এবং করোনা শৃঙ্খল ভাঙতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন’। বাড়িতে বসেই ২০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা একাকটি শব্দ লালকালিতে লিখে বুকের মাঝে ধরে ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়েছেন নির্দিষ্ট শিক্ষকের মোবাইলে। এরপর স্কুলের দুই শিক্ষক শিক্ষিকা রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং রিয়া রুজ সমস্ত ছবি একত্রিত করে কোলাজের মাধ্যমে স্কুলের ফেসবুকে পেজে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

স্কুলের শিক্ষক শুভদীপ সিনহা, কল্যাণ বিশ্বাস, শিক্ষিকা দিলরুবা আলম, রঞ্জনা দুবে, করিশমা জয়শোয়ালরা বলেন, “আমরা সর্বস্তরের মানুষের কাছে বার্তা দিতে আলোচনা করে এই কোলাজ তৈরি করেছি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে নয়, নিভৃতে থেকেই নিজেরাই হাতে লিখে ওই ছবি তুলে পাঠিয়েছি। আমাদের এই কোলাজের মাধ্যমে কিছু সংখ্যক মানুষকে সচেতন করতে পারলে আমাদের পরিশ্রম সার্থক হবে”।

শুধু কোলাজ করে বার্তা দেওয়াই নয়, লকডাউন পরিস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বিভিন্ন ভাবে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। শহর ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের হাতে চাল-ডাল-তেল-সয়াবিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি ছোট শিশুদের চকলেট বিস্কুট সহ শিশুখাদ্যও দেওয়া হয়েছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *