আমাদের ভারত, ২৮ সেপ্টেম্বর: পাঁচ বছরের জন্য পি এফ আইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় প্রকাশ্যেই সরব হলেন দেশের ক্ষুব্ধ মুসলমাদের একাংশ। একই সঙ্গে আর এস এস-কে নিষিদ্ধ করতে সামাজিক মাধ্যমে দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সহমত পোষণ করেছেন কিছু হিন্দুও।
মহম্মদ সহিদুল ইসলাম লিখেছেন, ”আর এস এসকে নিষিদ্ধ না করলে দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হবে এটা জনগণের কথা।” মহম্মদ রনি আদিন লিখেছেন, ”আর এস এস জঙ্গি সংগঠন।” আকবর আলি গুলাম লিখেছেন, ”আর এসয়এস-কে নিষিদ্ধ করা উচিত।” রবিউল শেখ লিখেছেন, ”একই সঙ্গে আর এস এস-কে ও নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল।”
তাপস রায় লিখেছেন, ”আর এস এস-কে ইন্দিরা গান্ধী নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। কেন আদেশ প্রত্যাহার করলেন? এই মহান দেশকে কালিমালিপ্ত করতে এরাই পুরোধা। এদের প্রধান পুরোহিত (মোহন ভাগবত ক্রীড়নক) দেশটাকে ভেঙে টুকরো করতে চায়। এটা তারই সূচনা। মোদী জানে তার বিসর্জন আসন্ন। তাই ভারতের ভিত ধরে টানাটানি। মহামূর্খটা জানেনা এই ভারতবর্ষের চিরাচরিত ঐতিহ্য এত ঠুনকো নয়।”
আখতার খান লিখেছেন, ”এইটা পুরোটা চক্রান্ত। আর এস এস সারা পৃথিবীর দেশ জানে সন্ত্রাসবাদি সংগঠন। তাদের অফিসে কেন হানা হয় না। পি এফ আই কেন তাদের উপর হানা হচ্ছে একটি কারণ তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। তারা পেছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে নিচ্ছে। আর এস এস ওপর যেন হানা হয় তবে ইনসাফ হবে।”
ইস্রায়েল সেখ লিখেছেন, ”আর এস এস বন্ধ করা দরকার।” সাবির শেখ লিখেছেন, ”প্রতিটা আরএসএস অফিস তল্লাশি করলে বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয় অস্ত্র পাওয়া যায় ওগুলো কি কেন্দ্রীয় সংস্থা দেখতে পাচ্ছে না বা কেন্দ্র জানে না এগুলো কেন জঙ্গি তকমা দেওয়া হচ্ছে না।” কবিদুল শেখ লিখেছেন, ”মুসলিমদের হয়ে প্রতিবাদ করে এই দল। তাই এই দল ব্যান করে দিলো যাতে কোনো প্রতিবাদ করতে না পারে।”
আবদুলালিম সেখ লিখেছেন, ”ক্ষমতার জোর বেশী দিন চলে না।” রাজিবুল খান লিখেছেন, ”পি এফ আই-কে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে আর এস এস ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন? আর এস এস-এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে চলবে!”
জাহিদুর রসমান লিখেছেন, ”আসলে দেশ ব্রাহ্মণ্যবাদীদের অঙ্গুলি হেলনে চলছে। তারা আর এস এস, হিন্দু সেনা, বজরং দলের মত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর কাজ দেখেও দেখেনা। প্রতিটি শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন এদের বিরুদ্ধে কন্ঠস্বর বাড়ানোর জন্য।” মোর্তাজা আলি খান লিখেছেন, ”সময়ের সাথে সাথে আর এস এস-ও নিষিদ্ধ হবে উদার জনগনের দাবী।”
প্রতিবাদে গৌরাঙ্গ গোপ লিখেছেন, ”আর এস এস কেবল দেশহিতে কাজ করে, দেশদ্রোহী কাজ করে না।” ডি দেবনাথ লিখেছেন, ”আর এস এস – ভারতের পবিত্র একটি শাখা।”
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পি এফ আই-এর শাখা সংগঠন, রেহাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন (আর আই এফ), ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (সি এফআই), অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল (এ আই আই সি), ন্যাশনাল কনফেডারেশন অফ হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন (এন সি এইচ আর ও), ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্ট, জুনিয়র ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং রেহাব ফাউন্ডেশন কেরলকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।