পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২ জুন: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙ্গচুরের ঘটনায় আরো এক প্রভাবশালী কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করল সিআইডি।
জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া কুড়মি নেতার নাম কৌশিক মাহাতো। তার বাড়ি ঝাড়গ্রামের জামবনি থানার তুলশিবনি এলাকায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ০২:০৫ নাগাদ ঝাড়খন্ড রাজ্যের চাকুলিয়া এলাকা থেকে কৌশিক মাহাতোকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কৌশিক মাহাতোকে নিয়ে অভিষেকের কনভয়ের হামলার ঘটনায় কুড়মি নেতা এবং আন্দোলনকারীদের গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১ জন। আজ শুক্রবার ঝাড়গ্রামের এডিজে ওয়ান আদালতে কৌশিক মাহাতোকে পেশ করা হয়। গত ২৬ মে অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচির দিন গড় শালবনি এলাকায় দেখা গিয়েছিল কৌশিক মাহাতোকে।
এই ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ সুওমোটো মামলা শুরু করে। ঘটনার দিন রাতেই আদিবাসী নেগাচারি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি অনুপ মাহাতো, গড় শালবনি গ্রামের মনমোহিত মাহাতো, অনিত মাহাতো, অজিত মাহাতো সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ২৭ মে বিকেলে ওড়িশা বর্ডার সংলগ্ন নয়াগ্রাম এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো, আদিবাসী জনজাতি কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি শিবাজী মাহাতো সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই দায়িত্বভার গ্রহণ করে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর সিআইডি। সিআইডি জামবনি থেকে নিতীশ মাহাতো নামে আরো এক কুড়মি নেতাকে গ্রেফতার করে। তারপরেই কুড়মি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিজেপির সক্রিয় কর্মী সমর্থক জয় মাহাতোকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কৌশিক মাহাতোর গ্রেফতারি নিয়ে এখনো পর্যন্ত গ্রেফতার হল ১১ জন কুড়মি নেতা ও আন্দোলনকারী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করে গড়শালবনীতে গ্রেফতার হওয়া কুড়মি নেতা ও আন্দোলনকারীদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জানা গিয়েছে, তারপরেই গতকাল রাতে তাদের পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।