মহকুমা অবজারভারকে অপদার্থ বললেন অনুব্রত

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১৮ জুলাই: ‘কোনও কোনও পঞ্চায়েত প্রধানরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত’। শনিবার বিকেলে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের কর্মী সভায় প্রকাশ্যে একথা বলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে দলের রামপুরহাট অবজারভার ত্রিদিব ভট্টাচার্যকে অপদার্থ বলে ক্ষোভ করেন তিনি। তবে এদিন ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জটিল মণ্ডলকে সভায় দেখা যায়নি। এমনকি উপস্থিত কর্মীরা তার বিরুদ্ধে নালিশ করেন জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে।

শনিবার ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের তেঁতুলডিহি গ্রামে কর্মী সভার আয়োজন করে তৃণমূল। ব্লক সভাপতি আশিস চন্দ্র গ্রামের একটি বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হল ঘরে সভার আয়োজন করেন। কিন্তু বদ্ধ ঘরের মধ্যে সভার আয়োজন করায় নাভিশ্বাস ওঠে কর্মীদের। দলের জেলা সহ সভাপতি তথা জেলা পরিষদের মেন্টর রানা সিংহ অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি সভাস্থল পরিবর্তন করার নির্দেশ দেন। এরপরেই ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে খোলা আকাশের নিচে সভার আয়োজন করা হয়। সভা মঞ্চে এসে রানা সিংহের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পেরে মাইক্রোফোন ধরে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “রামপুরহাট মহকুমার অবজারভার রয়েছেন ত্রিদিব ভট্টাচার্য। তার কোন বুদ্ধি নাই। রাখাল বাগালের থেকেও অধম। সে মুখে অবজারভার। কোন কাজ দেখে না। আগে দেখলে আপনাদের গরমে এতো কষ্ট হত না”।

এদিকে এদিন সভাস্থলের চারপাশে ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জটিল মণ্ডলকে দেখা যায়নি। সভা শেষে জটিল মণ্ডলের গড় বলে পরিচিত ষাটপলসা এলাকার বেশ কিছু কর্মী অনুব্রত মণ্ডলের কাছে অভিযোগ করেন জটিল মণ্ডল তাদের বিজেপি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ভয়ে তারা সভায় আসতে পারছেন না। বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন অনুব্রত। এনিয়ে জটিল মণ্ডলকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, “আমাকে কেউ জানায়নি। তাছাড়া আমার শরীর খারাপ তাই যায়নি”। তবে কাউকে বিজেপি করার জন্য চাপ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আশিস চন্দ্র বলেন, “ষাটপলসা অঞ্চল জেলা নেতৃত্ব দেখেন। ফলে ওই অঞ্চলে আমি কাউকে কর্মসূচীর কথা জানায়নি। তাছাড়া জটিল মণ্ডল দীর্ঘ দিন থেকে দলের কোন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন না। এদিন কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ তার বিরুদ্ধে জেলা সভাপতির কাছে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি জেলা নেতৃত্ব দেখছেন”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *