উচ্চমাধ্যমিকে মেধাতালিকা ছাড়াও শীর্ষে কলকাতা, মার্কশিট মিলবে ৩১ জুলাই

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৭ জুলাই: শুক্রবার বিকেল ৪টেয় ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হল এ বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফল। গতবারের থেকে এবারে বাড়ল পাশের হার। এবারে পাশের হার ৯০.১৩ শতাংশ, যা গত বার ছিল ৮৬.২৯ শতাংশ।মাধ্যমিকে পিছিয়ে পড়লেও উচ্চমাধ্যমিকে উল্লেখযোগ্য ফল কলকাতার পড়ুয়াদের৷ ভাল ফল করেছে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর। কালিম্পং, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদও ভালো ফল করেছে। মার্কশিট ৩১ জুলাই নাগাদ মিলবে বলে জানানো হয়েছে।

উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন, এবছর পাশের হার সর্বোচ্চ। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৩ জন। মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ৯০.১৩ শতাংশ। ছাত্রদের থেকে ছাত্রীদের সাফল্যের হার বেশি। ছাত্রীরা ৯০ শতাংশের বেশি পাশ করেছে। বিজ্ঞানে মোট পাশ করেছে ৯৮.৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষার্থীর ৫০ শতাংশ পড়ুয়া ৬০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে। ৫০০ নম্বরের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর উঠেছে ৪৯৯। অর্থাৎ ৯৯.৮ শতাংশ। ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ৩০ হাজার ২২০ জন। A+ পেয়েছে ৮৪ হাজার ৭৪৬ জন।

প্রথম দিকে যান্ত্রিক গোলযোগে সার্ভার কিছুক্ষণের জন্য ফের ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস জানান, WWW.WBRESULTS.NIC.IN এবং WWW.WBCHSE.NIC.IN সাইটগুলি থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ২৭ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষা চলার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই করোনার জেরে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। ফলে ২১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও বাকি পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। পরে বাকি পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করে উচ্চশিক্ষা দফতর।

ফল প্রকাশিত হলেও এদিনই মার্কশিট হাতে পাচ্ছে না পরীক্ষার্থীরা। ৩১ জুলাই দুপুর ২টো থেকে স্কুল থেকে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবে পরীক্ষার্থীরা। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের রাজ্যজুড়ে ৫২টি বিতরণ কেন্দ্র থেকে স্কুলগুলি ৩১ জুলাই মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট পাবে। উল্লেখ্য, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফলাফল না বেরোলে রাজ্যের অনেক ছাত্রছাত্রী সর্বভারতীয় পরীক্ষায় বসতে পারতেন না। সেই কারণে তার আগেই এই ফলাফল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী আর সেই নির্দেশ মেনে প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *