আমাদেরভারত, হুগলি, ১২ অক্টোবর: ‘ঠেলায় না পড়লে বেড়াল গাছে ওঠে না’। হুগলির আরামবাগের পারুল মিলনমঞ্চ রথতলার দুর্গাপুজোয় এই প্রবাদবাক্যকে সত্যি হতে দেখলেন কয়েকশো মানুষ। দেবীর বোধনের দিন সকাল থেকেই সংস্কৃত মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যেমে দুর্গাপুজো করলেন আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দারের স্বামী সাকির আলি।
এদিন সকাল আটটায় দেবীর ষষ্ঠীপুজো শুরু হয়। পুজো শুরু থেকে ধুতি, গেঞ্জি পরে ভক্তি ভরে প্রায় এক ঘন্টা সময় ধরে দুর্গাপুজো করলেন সাংসদের স্বামী সাকির আলি। এহেন ব্যক্তিক্রমী দুর্গাপুজোর খরর পেয়ে মণ্ডপে ভিড় জমান ওই এলাকার কয়েকশো বাসিন্দা।
রবিবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিনই ভারচুয়ালি আরামবাগের পারুল মিলনমঞ্চ রথতলার দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পুজো কমিটির সভাপতি স্বয়ং আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার ওরফে আর্ফিন আলি।
কেন এই দুর্গাপুজো করার ব্যাপারে এত জোর দেওয়া হল? এই প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ স্বামী সাকির আলি বলেন, এলাকার মানুষকে আনন্দ দিতেই দুর্গাপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি আরামবাগের চারটে বিধানসভা এলাকার গরিব মানুষদের প্রায় ছয় হাজার শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। সপ্তমী পর্যন্ত এই কার্যক্রম জারি থাকবে।
তবে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সম্প্রতি বিধানসভা ভোটে আরামবাগ মহকুমা জুড়ে তৃণমূল ধরাশায়ী হয়েছে। তাই সাংসদ ও তাঁর স্বামী দুর্গাপুজোর মাধ্যেমে জনসংযোগ বাড়াতে চাইছেন।
যদিও আরামবাগের সাংসদ অপরুপা পোদ্দার তথা আর্ফিন আলি সংবাদ মাধ্যেমকে জানিয়েছেন, ওই এলাকাটা মূলত তপশীলি জাতিভূক্ত মানুষের বসবাস। তাই আমরা স্বপরিবারে আরামবাগে এসে দুর্গাপুজোয় অংশ গ্রহন করে মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিয়েছি।