আমাদের ভারত, হুগলী, ১০ জুলাই: গ্ৰামে মাত্র একজন বইরে থেকে এসেছে, তাও সে ১৪ দিন হাসপাতালে থেকে বাড়ি ফিরেছেন, তার পরেও কেন এলাকাটাকে কনটেন্টমেন্ট জোন করে লকডাউন করা হল। এর প্রতিবাদে সিঙ্গুরের মির্জাপুর-বাঁকিপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের জগৎনগর গ্ৰামে বিক্ষোভ দেখাল গ্ৰামবাসীরা। সরকার ভুল সিন্ধান্ত নিয়ে এলাকাটাকে কনটেন্টমেন্ট জোন করেছে তার প্রতিবাদে কয়েকটি জায়গায় পোষ্টার ও মারে গ্ৰামবাসীরা।
অমর দাস ,গত ১৩ জুন মুম্বই থেকে জগৎ নগর গ্ৰামে ফেরেন। নির্দেশ মতো ১৪ দিন হোম কোয়ারাইটেনে আলাদা ঘরে ছিলেন । ১৪ দিন শেষ হবার দুদিন আগে, গত মাসের ২৪ তারিখ সিঙ্গুর গ্রামীন হাসপাতালে তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু তার কোনো রিপোর্ট আসেনি বলে অভিযোগ অমর দাস ও তার পরিবারের। এরপর গত ২৮ জুন সিঙ্গুর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। অমর দাসের অভিযোগ, সেখানে কোনও চিকিৎসা না করেই গত ৮ জুলাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে আলাদা ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মাও গৃহবন্দি। তার রিপোর্ট কিছু এল না পজিটিভ না নেগেটিভ তা সত্বেও কেন এলাকাটাকে কনটেন্টমেন্ট জোন করে লকডাউন করা হল?
অন্যদিকে গ্রামবাসীদেরও একই অভিযোগ।করোনা ভাইরাসের রিপোর্ট না আসা সত্বেও গ্রামটাকে কেন লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। আজ সিঙ্গুরের বিডিও পার্থ ব্যানার্জি ও চন্দননগর মহকুমা শাসক মৌমিতা সাহা গ্ৰাম পরিদর্শনে এলে কনটেন্টমেন্ট জোন নিয়ে এবং দুপাশের সীমানা নির্ধারনে কেন কম-বেশী করা হল তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন গ্ৰামবাসীরা। যদিও সকালে সরকারি আধিকারিকরা এ বিষয়ে কিছু মুখ খুলতে চাননি। পাশাপাশি সরকারের ভুল লকডাউনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা
পোস্টারও দিয়েছে।
মির্জাপুর -বাঁকিপুর পঞ্চায়েত প্রধান সুকুমার দে এ বিষয়ে বলেন, আমরা যা করছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতো। এর বাইরে আমরা কিছু জানি না।