আমাদের ভারত, বর্ধমান, ১৫ জুলাই: এক থেকে দশের মধ্যে থাকবো আশা করেছিলাম কিন্তু রাজ্যের মধ্যে প্রথম হবো স্বপ্নেও ভাবিনি। ভগবানের আশীর্বাদে আজ প্রথম হয়েছি। ৬৯৪ নাম্বার পেয়ে মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করে একথা বলল অরিত্র পাল।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারির শ্রী দুর্গাপল্লি এলাকার বাসিন্দা অরিত্র। মেমারি বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির (ইউনিট ১)এর ছাত্র অরিত্র পাল ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চায়। অরিত্র প্রাপ্ত নম্বর বাংলায় ৯৮, ইংরেজি ৯৯, অংকে ১০০, ভৌত বিজ্ঞান ৯৮, জীবন বিজ্ঞান ৯৯, ইতিহাস ১০০, ভূগোলে ১০০।
এদিন অরিত্র বলে, এক থেকে দশের মধ্যে থাকবো আশা করেছিলাম। ৬৮৫ থেকে ৬৯৪ নাম্বারের মধ্যে পাবো বলে আশা ছিল। ৬৯৪ নাম্বারই পেয়েছি। টেস্টে প্রাপ্ত নাম্বার ছিল ৬৬৭। সকলের আশা ছিল দ্বিতীয় থেকে ষষ্ঠের মধ্যেই থাকবো। কিন্তু ভগবানের আশীর্বাদে প্রথম হয়েছি। আগামী দিনে কেমিস্ট্রি কিংবা অঙ্ক নিয়ে পড়াশোনা করতে চাই। বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছে আছে। যদি না হয় তাহলে মেডিকেল লাইনে যাবো। সারা দিনে গড়ে ১৭ ঘন্টা পড়াশোনা করতাম। যেদিন কম পড়তাম সেটাও ১২ ঘন্টার কম নয়। ইতিহাস, ভূগোল ও বাংলার জন্য আলাদা শিক্ষক ছিল না। মা সব দেখিয়ে দিত। অরিত্রর মতে তার সাফল্যের পিছনে সকলের অবদান থাকলেও সবচেয়ে বেশি অবদান আমার মায়ের।
অরিত্রর বাবা গণেশ চন্দ্র পাল একজন সেনাকর্মী, মা চন্দনা পাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। অরিত্রর মা চন্দনা পাল বলেন, আমরা আশা করেছিলাম এক থেকে দশের মধ্যে থাকবে, কিন্তু স্কুলের শিক্ষকেরা বলেছিলেন অরিত্র রাজ্যের মধ্যে এক থেকে তিনে চলে আসবে।সেই সফলতা আজ এসেছে। টেস্ট পরীক্ষায় ওদের খাতা কড়া করে দেখা হয়। ওর যা ইচ্ছে, যা পছন্দ সেটা নিয়েই পড়বে। আমরা জোর করে কিছু চাপিয়ে দেবো না। তবে ও বিজ্ঞানী হতে চায়। আমি ছোট থেকেই ছেলেকে সহজ সরল খেলাচ্ছলে পড়াতাম। আড়াই বছর বয়সে ও নিজে নিজেই অ আ লিখতে শিখে গিয়েছিল। কেজি ওয়ানে ভরতির সময় মোটামুটি দ্বিতীয় শ্রেণির বই শেষ করে ফেলেছিল।