কোরান অবমাননা করলে ধড় থেকে গলা আলাদা করার হুমকি, আব্বাস সিদ্দিকিকে গ্রেফতারের দাবি

আমাদের ভারত, ১৭ অক্টোবর: বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার আঁচ পশ্চিমবঙ্গেও। ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা তথা আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকির বিরুদ্ধে সরাসরি সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ উঠল। বাংলা পক্ষের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁকে গ্রেফতার করার দাবি জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের ঘটনায় চারিদিকে নিন্দার ঝড় বইছে। কিন্তু তার মধ্যেই আব্বাস সিদ্দিকির বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আব্বাস সিদ্দিকির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে কুমিল্লা ও নোয়াখালির পুজো মণ্ডপ, ইসকন মন্দিরের হামলার ঘটনা নিয়ে বক্তব্য রাখতে দেখা গেছে তাঁকে। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা গেছে, “বাংলাদেশের কুমিল্লায় দেখা গিয়েছে একটি মণ্ডপে হনুমানের মূর্তির পায়ের গোড়ায় পবিত্র কোরান রাখা হয়েছে। ওরা ওদের ধর্মে হনুমানকে পুজো করতেই পারে। এটা ওদের বিশ্বাস। কিন্তু কোরানের অবমাননা কেন? আমরা যদি কোনও ধর্মের ধর্মগ্রন্থের ছবি কুকুরের গলায় ঝুলিয়ে রাখি তাহলে কি দেখতে ভালো লাগবে? ধিক্কার জানাই।” ভিডিও-র শেষের অংশে তিনি বলেন, “আসলে প্রকৃত ইসলাম ধর্মকে মেটানোর জন্য চক্রান্ত চলছে। কারো যদি কোরানকে অবমাননা করার অধিকার থাকে তবে আমি আব্বাস সিদ্দিকি এটা বলতে পারি, সেইসব মানুষের ধড় থেকে গলা আলাদা করে দেওয়ার অধিকার আছে।”

সিদ্দিকির এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বাংলা পক্ষ সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে এনিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে অবিলম্বে ধর্মীয় উস্কানি মূলক মন্তব্যের জন্য আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হোক। বাংলা পক্ষ অভিযোগ করেছে, মৌলবাদী রাজনীতিবিদ আব্বাস সিদ্দিকি তীব্র আক্রমণাত্মক সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তা থেকে সুরক্ষিত আছে। এখানকার বাঙালি নিজেদের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু এই বাংলার মাটিতে ফুরফুরা শরীফের ধর্মগুরু আব্বাস সিদ্দিকি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করে হিংসায় উস্কানি দিচ্ছেন।

তাদের আরও অভিযোগ, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষয়কে টেনে এনে এই বাংলার মাটিকে অশান্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছে। বাঙালি বিরোধী বহিরাগত অপশক্তি যারা ধর্মের ভিত্তিতে বাঙালিকে ভাগ করতে চায় তারা এইসব উস্কানির মদতদাতা, এই ধরনের ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *