জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ২৪ জুন: পুরীর মতো কয়েকটি ব্যতিক্রমী ক্ষেত্র বাদ দিলে গোটা দেশের প্রায় কোথাও রথযাত্রার দিন গড়ায়নি রথের চাকা। শাস্ত্রীয় রীতি মেনে রথযাত্রার দিন প্রায় সর্বত্রই খুব বেশি আড়ম্বর না করেই হয়েছে জগন্নাথদেবের আরাধনা। রথের দিন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার দর্শন পেতে খুব বেশি মানুষ ভিড়ও জমাননি কোথাও। বেশির ভাগ লোকই বাড়িতে থেকে টিভির পর্দায় বা সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রেখে প্রত্যক্ষ করেছেন রথযাত্রা।
রথের চাকা না গড়ানো এবং দূর থেকে বা বাড়ি থেকে জগন্নাথ দর্শনের বিষয়টিকে নিজের শিল্প সৃষ্টি দিয়ে তুলে ধরে রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সদর মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্রনগরের বাসিন্দা কেশপুর ব্লকের মহিষাগেড়্যা হাই মাদ্রাসার শিক্ষক নরসিংহে দাস। নরসিংহবাবু কালো জিরে, পেরেক, মসুর ডাল, দেশলাই কাঠি দিয়ে রথযাত্রার তাৎপর্যপূর্ণ শিল্প সৃষ্টি করেছেন। তার শিল্প সৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে, না গড়িয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে রথের চাকা আর দূর থেকে তিনজন ভক্তবৃন্দ দেবদেবীকে প্রণাম করছেন। ওড়িশার পুরীর বিখ্যাত রথযাত্রার কথা মাথায় রেখে নরসিংহ বাবু সেই শিল্প কর্মের একপাশে ওড়িয়া হরফে লিখে দিয়েছেন “পবিত্র রথযাত্রা”।
নরসিংহ বাবুর এই কারুকার্যকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন বহু মানুষ। নরসিংহবাবু কাগজে ছবি আঁকার পাশাপাশি কখনো শাক-সবজি, লতাপাতা, দেশলাই কাঠি, কালো জিরে, মুসুর ডাল, পেরেক দিয়ে বা অন্য কিছু দিয়ে এই ধরনের শিল্প সৃষ্টি করে থাকেন।