রাজেন রায়, কলকাতা, ১৭ ডিসেম্বর: “বাম ও কংগ্রেসকে ভেঙে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদা তৃণমূল ব্রিগেড তৈরি করেছিলেন। এবার সেটাই তার সঙ্গেও হচ্ছে। একেই বলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি।’ বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের দলীয় বিধায়ক তথা নেতা কর্মীদের চলে যাওয়ার ঘটনাকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সংসদীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অধীরবাবুর কথায়,’বাম ও কংগ্রেসকে ভেঙে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদা তৃণমূল ব্রিগেড তৈরি করেছিলেন। এবার সেটাই তার সঙ্গেও হচ্ছে। আর তার ফল স্বরূপ একে একে সবাই দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছে। কারণ সবাই বুঝে গেছে এই দলের আর কোনও নীতি আদর্শ নেই।
অধীর আরও জানান, একটা দল চালাতে গেলে তার বেঁচে থাকার খাবার হল নীতি ও আদর্শ। কিন্তু তৃণমূলের তো কোনও নীতি ও আদর্শ ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যেন তেন প্রকারে বামেদের সরানো। কিন্তু দলে নীতি আদর্শের বদলে লুটপাট। তাই বুঝে গিয়ে সবাই কেটে পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একসময় সাথী ছিল বিজেপি। বাম কংগ্রেসকে শেষ করতে যাদের হাত ধরে এ রাজ্যে এনেছিল তৃণমূল। আজ তারাই বিপক্ষ শক্তি হিসেবে মমতাকে শেষ করছে।’
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এত কি সমস্যা হল যে, রাতারাতি প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে আসা হল তৃণমূল দলটাকে ঠিক করতে। আমরা জানি একটা কোম্পানি চালাতে কর্পোরেট ডেভলপার লাগে কিন্তু একটা দল চালাতে প্রশান্ত কিশোরের মত একটা কর্পোরেট ডেভেলপারের কেন প্রয়োজন হল? এ ভাবে একটা রাজনৈতিক দল চলে না।’