জে মাহাতো, মেদিনীপুর, ১ ডিসেম্বর:
সোমবার রাতে সবং থেকে শুভেন্দু অধিকারী ফিরে যাওয়ার পর তার অনুগামীদের বাড়িতে হামলা চালাল একদল দুষ্কৃতীl সোমবার সন্ধ্যায় শুভেন্দু অধিকারী সবং এলাকার তৃণমূল নেতা প্রভাত মাইতির স্ত্রীর মৃত্যুর খবর শুনে প্রভাতবাবুকে এবং তার ছেলেকে সান্তনা দিতে সবং এসে ছিলেনl দশগ্রামের দেহাটি ব্রিজ থেকে প্রভাস মাইতির তেমাথানির বাড়ি পর্যন্ত প্রায় পনের কিলোমিটার রাস্তা শুভেন্দু বাবুকে এসকর্ট করে নিয়ে যায় তার অনুগামীরাল
প্রভাতবাবুর বাড়িতে ঘন্টাখানেক থেকে ওই পথ দিয়েই পূর্ব মেদিনীপুরে ফিরে যান তিনিl এরপরে রাত দেড়টা নাগাদ দাদার অনুগামী দশ বারোজনের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠেl কোলন্দা ও কোপ্তিপুর এলাকায় রাতভর বোমাবাজির পাশাপাশি কয়েক জনের বাড়িতে ঢুকে মারধর করা এবং ভাঙ্গচুর চালানো হয়l অভিযোগ, শুভেন্দুবাবুর একজন অনুগামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং এ সমস্ত ঘটনাই ঘটেছে সবং ব্লক তৃণমূলের মদতেl
কোলন্দা গ্রামের বাসিন্দা তথা শুভেন্দু বাবুর অনুগামী মালাকার বলেন, প্রভাস মাইতির সদ্যপ্রয়াত স্ত্রী শিক্ষিকা বকুল মাইতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীl তাই আমরা কয়েকজন শুভেন্দুবাবুর কাছে যাই। সেখান থেকে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়িl রাত দেড়টা নাগাদ স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী এক নেতার নেতৃত্বে বোমাবাজি শুরু করেl তারপরে শুরু হয় বাড়ি ভাঙ্গচুর এবং অশ্রাব্য গালিগালাজl তৃণমূল কর্মীরা বলছিল দাদার অনুগামী হওয়া জন্মের মত বের করে দেবl কেটে কুঁচিয়ে ফেলবো সবকেl
যুগল বাবু বলেন, বাইরে কিসের বোমাবাজি হচ্ছে তা দেখতে দরজা খুলেছিলামl সেই সময় মারধর করে আমাকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়l বাড়ির মেয়েরা না আটকালে আমাকে মেরেই ফেলতl বাইরে প্রায় কুড়ি পঁচিশ জন হাতে লাঠি ছাড়াও বন্দুক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলl আক্রান্ত তৃণমূলের ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের ব্লক সভাপতি যুগল বাবু বলেন, আমাদের এক সহকর্মী অর্জুন মানাকে ওরা বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে রতুয়া বাজারের তৃণমূল অফিসে আটকে রাখে এবং মারধর করা হয়l তবে কিছুক্ষণ পর পুলিশ যাওয়ার খবর পেয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একইভাবে অনিল আদক জয়দেব মাইতি বাবলু মাইতি অশোক ভোক্তাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এইসব আক্রান্তরা জানিয়েছেন, দুটি গ্রামে রাত দেড়টা থেকে তিনটা পর্যন্ত একটানা হামলা চালানো হয়েছেl একই সঙ্গে চলেছে বোমাবাজিl পুলিশ এসে বেশ কিছু তাজা বোমা উদ্ধার করেl মদ্যপ আক্রমণকারীরা আক্রমণ চালানোর সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, এইবার অ্যাকশন শুরু হল, কোন দাদা তোদের বাঁচায় দেখে নেবl এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমল পন্ডা বলেন, আমি যতদূর জেনেছি দুই মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকার দেহাটি ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জায়গায় বেশকিছু চটি ও ধাবা রয়েছেl শুভেন্দু অধিকারী চলে যাওয়ার পর তার কয়েকজন অনুগামী ওই ধাবাগুলিতে বসেছিলেনl তাদের সঙ্গে স্থানীয় কিছু মানুষের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়l যার পরিণতি হিসেবে কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছেl তবে এসব ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতোল