আমাদের ভারত, বনগাঁ, ১৫ জুলাই: প্রকাশিত হল এ বছরের মাধ্যমিকের ফল। সাংবাদিক বৈঠকে পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। পাসের হারে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হল এ বছর। পাসের হার আগের বছরের তুলনায় সামান্য বেড়ে হয়েছে ৮৬.৩৪ শতাংশ। ছাত্রদের মধ্যে পাশের হার ৮৯.৮৭%। ছাত্রীদের মধ্যে পাশের হার ৮৩.৪৭ শতাংশ। এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ১০ লক্ষ ৩ হাজার ৬৬৬ জন। তার মধ্যে পাস করেছে আট লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০৫ জন।
রাজ্যের মধ্যে ষষ্ঠ হয়েছে ১২ জন। অশোকনগর বাণীপীঠ গার্লস হাইস্কুলের অস্মি চৌধুরি মেধা তালিকায় ষষ্ঠ স্থান অধিকার করেছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৭। অস্মি পঞ্চম শ্রেণিথেকেই ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করত। বাবা অমিতাভ চৌধুরী স্কুল শিক্ষক। মা চৈতন্য কলেজের পার্ট টাইম টিচার। অশোকনগর হরিপুর এলাকার বাসিন্দা। মা বাবার সঙ্গে গৃহশিক্ষক ও স্কুলের শিক্ষিকারাও তাঁকে যথেষ্ট উৎসাহ ও প্রেরণা দিতেন বলে জানিয়েছে অস্মি। তাঁর পড়াশোনার কোনও বাঁধা সময় ছিল না। যখন মন চাইতো তখনই পড়াশোনা করত। ভবিষ্যতে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে অস্মি।
পাশাপাশি রাজ্যের অষ্টম হয়েছেন ১১ জন। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। তালিকায় রয়েছে বনগাঁ হাইস্কুলের ছাত্র মঞ্জুষ হালদার। বনগাঁ শক্তিগড় দাস পাড়া এলাকার বাসিন্দা। বাবা দেবাশীষ হালদার বিডিও অফিসে কর্মরত। মা স্কুল শিক্ষিকা। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা শুরু হতেই টিভির সামনে বসে পড়ে মঞ্জুষ সহ পরিবারের সকলেই। টিভিতে নাম প্রকাশের পর কিছুক্ষণের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে যায় মঞ্জুষ। তাঁর কথায় অষ্টম স্থান অধিকার করেছি। এমন নম্বর পাব আশা করিনি। খেলাধুলার পাশাপাশি গান-বাজনা এবং সংবাদমাধ্যমে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা বলে। আগামীতে ডাক্তারি নিয়ে পড়ার আশা প্রকাশ ওই কৃতি ছাত্রর।