“আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল,” ভবানীপুরে হামলার ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলীপ ঘোষের

আমাদের ভারত, ২৭ সেপ্টেম্বর: ভবানীপুর উপ নির্বাচনের আজ ছিল ভোট প্রচারের শেষ দিন। সেখানে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচারে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁকে রীতিমতো দফায় দফায় ধাক্কাধাক্কি করা হয়। মারাত্মক হেনস্তা হতে হয় বিজেপির এই পোড় খাওয়া নেতাকে। দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁকে আজ ভবানীপুরে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, সম্পূর্ণ পরিকল্পনা করেই দিলীপ ঘোষের উপর এই হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা। পরিস্থিতি হাতে বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে সার্ভিস রিভলভার উঁচিয়ে ধরতে বাধ্য হন বিজেপির সরব ভারতীয় সহসভাপতির নিরাপত্তা রক্ষীরা।

এই ঘটনার ভিডিও পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপ ঘোষ লেখেন, “মাননীয়ার খাসতালুক ভবানীপুরে একজন জনপ্রতিনিধির উপর যেভাবে হামলা হলো এরাজ্যে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন কতটা সুরক্ষিত? তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার এলাকায় যেভাবে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হল, আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল, সেটি শাসকদলের জঘন্য ভয়াবহ রূপ থেকে তুলে ধরে।” দিলীপবাবু প্রশ্ন তোলেন, “এরপরও কি সুস্থ নির্বাচন আশা করা যায়?”

প্রসঙ্গত, ভোট প্রচারে শেষ লগ্নে ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি ভবানীপুরে পৌঁছানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তাকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। হামলার ঘটনায় এক বিজেপি সমর্থকদের মাথা ফাটিয়ে দেন তৃণমূলের সমর্থকরা বলে অভিযোগ। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় দিলীপ ঘোষের দেহরক্ষীদেরও।

ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে দেবেন্দ্রনাথ রোডে দিলীপ ঘোষের প্রচার চলার সময় উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানেই হামলার ঘটনাটি ঘটে। দিলীপ ঘোষ বাড়ি বাড়ি ঘুরে লিফলেট বিলি করছিলেন। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রচার অটো সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। সেই অটো থেকে দিলীপ ঘোষ ও বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। সেই সময় সেখানে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনা টিকাকরন চলছিল। দিলীপ ঘোষ সেই টিকাকেন্দ্রে ঢোকেন। অভিযোগ তৃণমূল কর্মীরা সেখানে থেকে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনেন। তাঁকে নিগ্রহ করা হয়, রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করা হয় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে। যখন তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তখন জয় বাংলা স্লোগান দিতে থাকে তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা জয় শ্রীরাম ধ্বনি ওঠে বিজেপির তরফেও। এরপর দিলীপ ঘোষ কিছুটা এগিয়ে গেলেই তৃণমূল কর্মীরা এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ও মুখ ফাটিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।

দিলীপ ঘোষ বলেন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করতে বেড়িয়েছি সেখানেও সুরক্ষা নেই। আমাদের কর্মীদের মেরে মাথা ফাটিয়ে দিচ্ছ‌ আমাকে লাথি গুতো মারা হয়েছে। কীভাবে হবে নির্বাচন? কোথায় গণতন্ত্র?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *