নাড্ডার কনভয়ে হামলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্র, তৃণমূলকে জবাব দিতে হবে মানুষের কাছে : শাহ

আমাদের ভারত, ১০ ডিসেম্বর: বৃহস্পতিবার ডায়মন্ডহারবারের শিরাকোল সরিষা সহ একাধিক জায়গায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয় হামলার কড়া নিন্দা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর কথায় কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমনকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এই সংগঠিত ও পরিকল্পিত হিংসার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ডায়মন্ডহারবারে যাচ্ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার সঙ্গেই ছিলেন দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অনুপম হাজরা সহ বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। শিরাকোলে কনভয় পৌঁছাতেই রাস্তার দু’ধার থেকে শুরু হয় ইঁট, পাথর বৃষ্টি, বলে অভিযোগ বিজেপির। এমনকি গাড়ি ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মধ্যেই একের পর এক গাড়ির কাঁচ ভাঙ্গা হয়। পাথর কাঁচের বোতল ছোড়া হয় বেপরোয়াভাবে।কাঁচের বোতলের টুকরো লেগে আহত হয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী। চোট পেয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। ভাঙচুর চালানো হয়েছে অনুপম হাজরার গাড়িও। বাদ যায়নি সংবাদমাধ্যমের গাড়ি।


বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে , পুলিশ ছিল নিরব দর্শক।

ঘটনায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁর কথায় পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে। ভাইপোর গুন্ডারা পুলিশকে ভয় পায় না।

শিরাকোলের এই হামলার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে জেপি নাড্ডার। তারপরই অমিত শাহ টুইটে লিখেছে,” আজ বাংলায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতিজেপি নাড্ডার কনভয়ে আক্রমণ অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এই ঘটনার যতো নিন্দাই করা হোক না কেন তা কম। কেন্দ্র সরকার এই আক্রমনকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। এই সংগঠিত ও পরিকল্পিত হামলার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

সিপিএম নেতৃত্বও ঘটনার নিন্দা করেছেন। তাদেরও অভিযোগ ওই এলাকায় তাদের দলের সভা ও করতে দেওয়া হয়নি জোরজুলুম করে।

এদিকে এই ঘটনার পর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি আরো জোরদার ভাবে তুলতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা। অমিত শাহও জানিয়েছেন ঘটনাটিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন। ফলে আগামী দিনে রাজ্যের শাসনব্যবস্থা নিয়ে কি কোনো বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে, সেই প্রশ্ন ঘোরাঘুরি করছে রাজনৈতিক মহলে।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here