স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১৭ অক্টোবর: এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে তার মায়ের সামনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল পাশের জোলপড়ার বাসিন্দা গৌতম বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।নদিয়ার শান্তিপুরের বেলঘড়িয়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৫ অক্টোবর অর্থাৎ বুধবার রাতে। অন্য আর পাঁচটা রাতের মতো সেদিনও ঘরের দরজা বন্ধ করে মা-মেয়ে ঘুমিয়েছিল। আনুমানিক রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবক চুপিসারে ঐ মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীর বাড়ির দরজা খুলে অন্ধকার ঘরে ঢোকে। তারপর ঐ মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। কিছুক্ষণের মধ্যে মেয়ের গোঙরানিতে ঘুম ভেঙে যায় মায়ের। আলো জ্বালিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছুই দেখতে পায় না ঐ যুবতীর মা। পরবর্তীতে দেখে কেউ একজন ঘরের খাটের তলায় বসে আছে। চোর চোর বলে চেঁচামেচি করতেই খাটের তলা থেকে বেরিয়ে আসে পাশের পাড়ার গৌতম। বালিশের ঢাকা দিয়ে মুখ বাঁধা প্রায় বিবস্ত্র অবস্থায় মেয়েকে দেখে বাবা-মা মারতে শুরু করে ওই যুবককে। এলাকাবাসীরা জড়ো হওয়ার আগেই চম্পট দেয় সে। এলাকাবাসীর পরামর্শ অনুযায়ী শান্তিপুর থানার ফোন করলে সাথে সাথে পুলিশ এসে আটক করে নিয়ে যায় অভিযুক্ত ঐ যুবককে। রাত কাটতেই ঐ যুবকের আত্মীয় পরিজন নানান মাধ্যমে লোক পাঠিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করে থানায় লিখিত অভিযোগ না করার জন্য। এমনকি তাদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় গৌতমের এক বন্ধু তারক। ভয়ে অভিযোগ করতে সাহস পায়নি ওই যুবতীর মা-বাবা।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ না থাকায় ওই যুবককে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় স্থানীয় প্রশাসন। দুদিন বাদে আজ স্থানীয় একটি প্রতিবন্ধী সংগঠনের সমবেত সিদ্ধান্তে তাদের প্রায় ৭০ জন সমর্থকের উপস্থিতিতে সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ লিখিত অভিযোগ করে মা। এ বিষয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয় পুনরায় ঐ দোষীর গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনকে। দোষী শাস্তি না পেলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন তারা।