আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৭ জুন: বিজেপি করা এবং বিজেপির সভায় ও মিছিলে যাওয়ার অপরাধে এক কিশোরীকে বাড়ির সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে ধর্ষণের চেষ্টা। প্রতিবেশী বিজেপি সমর্থকরা বাধা দিতে গেলে তাদের দাঁ, কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ। এমনই অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরে বোমাবাজি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় আহত হয় ৫ জন। এদের মধ্যে কিশোরী সহ তিনজন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার রাতে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানার ফুলশরা পঞ্চায়েতের বকচরা এলাকার পারুইপাড়ায়।
কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, এদিন রাতে ওই কিশোরী ভাত খেয়ে বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। সেই সময় এলাকার তৃণমূল নেতা মিঠুন গাইন, কাজল বিশ্বাস, জয় বিশ্বাস ও বিশ্বজিত দাস মেয়েকে বাড়ির সামনে থেকে টেনে হিঁচড়ে পাশের একটি মাঠে নিয়ে যায়। প্রায় আধঘণ্টা ধরে তাকে মারধর ও ধর্ষণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে দুষ্কৃতীরা দাঁ, কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর লোকজন চলে আসায় দুষ্কৃতীরা প্রতিবেশীদের লক্ষ্য করে দুটি বোমা ছুড়ে পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিত ঘোষ, বিজেপি নেতা শুভঙ্কজ্যোতি সাহা ও এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা অপর্ণা মণ্ডল বলেন, এলাকায় একের পর এক তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। তৃণমূলের সন্ত্রাসের দাপটে বাড়ির মহিলারা বাইরে বেরতে ভয় পায়। এর আগেও এই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই ভাবে হামলা চালিয়েছিল বিজেপি সমর্থকদের উপর।
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক সুরজিত বিশ্বাস বলেন, এটা বিজেপির নিজেদের ঝামেলা। তৃণমূলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত না। এই ঘটনায় গাইঘাটা থানার পুলিশ দুই দলের আট জনকে গ্রেফতার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন।