অবৈধভাবে বালি তোলার প্রতিবাদ করায় তৃণমূল নেতাকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ

আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৫ সেপ্টেম্বর: ব্রাহ্মণী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি তোলার প্রতিবাদ করায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান সদস্যকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। এমনকি তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। গ্রামবাসীদের বাধায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় বালি মাফিয়ারা। অভিযোগ, প্রশাসনের মদতেই বাঁধের গা ঘেঁষে তোলা হচ্ছে বালি। ফলে বন্যার আশঙ্কা দেখছেন গ্রামের মানুষ।

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন থেকেই প্রশাসনের মদতেই বীরভূমের নলহাটি থানার বৈধরা জলাধারের কাছে ব্রহ্মাণী নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছিল বালি। সেই বালি জেলা ছাড়িয়ে মুর্শিদাবাদ, মালদা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হচ্ছিল। বালি মাফিয়ারা নদীর বালি তুলতে তুলতে শেষ পর্যন্ত নদী বাঁধ কেটে বালি তোলার চেষ্টা করে। সেই প্রচেষ্টায় বাধার সৃষ্টি করেন বাউটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান, ঝাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কৈলাস লেট। তার আপত্তিতে বালি তোলা বন্ধ করে দেয় বালি মাফিয়ারা। এরপরেই শুক্রবার কৈলাশবাবু পরিবার নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে তাকে রাস্তা থেকে চারচাকা গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে মাফিয়ারা। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। এরপরেই ক্ষিপ্ত হয়ে গ্রামের মানুষ ঘটনার প্রতিবাদ করতে থাকেন। প্রচুর মানুষ জমায়েত হন নলহাটি থানায়।

কৈলাশবাবু বলেন, “যেভাবে বাঁধের মাটি কেটে বালি তোলা হচ্ছে তাতে খুব শীঘ্রই চাষের জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বন্যা হলে ভেসে যাবে গ্রাম। তাই আমরা অবৈধভাবে বালি তোলার বিরুদ্ধে প্রশাসনের সর্বস্তরে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের কোনও হেলদোল দেখতে পাইনি। এদিন পরিবার নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে বালি মাফিয়া পিয়ারুল শেখ আমাকে খুনের উদ্ধেশ্যে জোর করে চার চাকা গাড়িতে তুলে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এলাকার মানুষ আমাকে দেখতে পেয়ে দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা করে। এর আগেও ওরা ফোনে আমাকে খুনের হুমকি দেয়। বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছি”।

অভিযুক্ত পিয়ারুল বলেন, “প্রধান থাকাকালীন ঠিকাদারের কাজ পাইয়ে দেওয়া নামে আমার কাছ থেকে টাকা নেয় কৈলাশ। কিন্তু কাজও দেয়নি টাকাও দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে”। পুলিশে জানিয়েছি অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *