নকল পুলিশ সেজে অর্থ আদায়ের চেষ্টা, জয়গাঁয় গ্রেপ্তার ৪ দুষ্কৃতী

আমাদের ভারত, আলিপুরদুয়ার, ৬ জুন: হুমকি দিয়ে ব্যাবসায়ীর থেকে টাকা তোলার ছক কষেছিল চার দাগি অপরাধী। তবে ৪ জনকেই দ্রুত গ্রেফতার করলো পুলিস।যবনিকা পড়ল তিন চারদিনের নাটকের।

জানা গেছে, পুলিসের ছদ্মবেশ ছিল। পাশাপাশি অনলাইনে সংগ্রহ করা অত্যাধুনিক পিস্তলের আদলে তৈরি এয়ার পিস্তল সাথে ছিল। লক্ষ্য ছিল জয়গাঁর নামকরা এক ব্যবসায়ী। তবে শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি দুষ্কৃতিদের ছক। জয়গাঁ থানায় ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত তদন্তে নেমে পুলিশ গ্রেফতার করে চারজনকেই। ভারত-ভূটান সীমান্তের জয়গাঁও শহরের ঘটনা।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,গত ২৯শে মে রাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ধর্ম কুমার গুপ্তার বাড়িতে হানা দেয় চার নকল পুলিশ। ভুয়ো কাগজ দেখিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় তারা। গ্রেফতারি এড়ানোর জন্য ধর্ম কুমার গুপ্তার কাছে তিন লক্ষ টাকাও দাবি করে তারা। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে কপালে রিভলবারও ঠেকানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় ব্যবসায়ী জয়গাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। শুক্রবার রাতে ফের ব্যবসায়ীকে মোবাইলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় দুস্কৃতিরা। সঙ্গে সঙ্গেই আতঙ্কিত ওই ব্যবসায়ী গোটা ঘটনাটি পুলিশকে জানান ও যে মোবাইল থেকে হুমকি এসেছিল সেই নম্বরটিও জানিয়ে দেন। তাতেই সহজ হয়ে যায় পুলিশের কাজ। মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে জয়গাঁ শহর থেকে ওই চার দুস্কৃতি কিরণ শর্মা, সুভাষ লামা, শুভম বিশ্বকর্মা ও মিগমা দোর্জি গুরুঙকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তাদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তলও উদ্ধার হয়।

প্রাথমিকভাবে পুলিস সুত্রে জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে খুনের পুরনো মামলা রয়েছে। বাকিরাও এলাকায় দাগি বলে পরিচিত। কোভিভ পরিস্থিতিতে হাতে অর্থ না থাকায় আয়ের উপায় খুজছিল সকলেই।এদিকে,কোভিভ পরিস্থিতিতে দাগি অপরাধী যারা আপাতত জামিনে মুক্ত রয়েছেন তারা ফের অসামাজিক কাজের সাথে যুক্ত হয়ে পরছেন বলেও অনুমান পুলিসের একটি মহলের।কড়া নজরদারি চলছে জেলায়। প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির মামলা রুজু করে ধৃতদের শনিবারই আলিপুরদুয়ার এসিজেএম আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।জয়গাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন “দুস্কৃতিদের মোবাইল নম্বর পেয়ে যাওয়ার দরুন আমাদের তদন্তের কিনারা করতে অনেক বেশি সুবিধে হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *