আমাদের ভারত, ১৯ জানুয়ারি: স্কুলছুটদের ফেরানোর প্রশ্নে ‘পিসি ভাইপোর’ কোনও হুঁশ নেই বলে অভিযোগ করলেন সিপিএমের প্রাক্তন পরিষদীয় প্রধান সুজন চক্রবর্তী।
বুধবার তিনি টুইটারে লেখেন, “মেলা হল, খেলা হল, ডায়মন্ড হারবার মডেলের নামে ভাঁওতাবাজিও হল, কিন্তু স্কুল কলেজ খুলবে কবে? ড্রপ আউট স্টুডেন্টদের ফেরানো প্রশ্নে পিসি ভাইপোর কোনও হুঁশ নেই কেন? এগিয়ে বাংলা মদ বিক্রিতে আর মেলা-উৎসবে। অথচ পিছিয়ে বাংলা শিক্ষা আর চাকরিতে! এ কেমনতরো ব্যবস্থাপনা – মাননীয়া! ছিঃ।”
টুইটের সঙ্গে জনৈক অপূর্ব চ্যাটার্জির ফেসবুক পোস্ট যুক্ত করেছেন সুজনবাবু। তাতে লেখা, “অতিমারিতে দেশ এবং আমাদের রাজ্যের শিক্ষার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। সমগ্র শিক্ষার সিস্টেমকে কোভিড পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রশ্নটা শুধু কোভিড নয়, কোভিডের আগে থেকেই আমাদের রাজ্যে টিএমসি সরকারের সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেকটা পিছিয়ে পড়েছেI NSS-র ২০১৭-১৮ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকে গ্রস এনরলমেন্ট রেসিও ৫৪.৪ শতাংশ আর সমগ্র দেশে ৭০.৩ শতাংশ। আবার আমাদের রাজ্যে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের পুরুষদের মধ্যে মাত্র ৩৩.৫ শতাংশের মাধ্যমিক বা উচ্চতর ডিগ্রি আছে। এ শুধু সর্বভারতীয় গড়ের থেকে কম তাই নয় যে কোনও রাজ্যের থেকেও নিচে। ২০১৯-২০ তে অল ইন্ডিয়া সার্ভে অন হায়ার এডুকেশনে দেখাচ্ছে, সারা ভারতে যেখানে উচ্চশিক্ষায় পুরুষদের জিইআর ২৬.৯ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গে তা ২০.৩ শতাংশ। শিক্ষা অসম্পূর্ণ বলে কাজের বাজারেও সুবিধা হচ্ছে না। কাজের বাজারে জায়গা হচ্ছে নিচের দিকে, যার ফলে দারিদ্র্যমুক্তি ঘটছে না- এ এক দুষ্টচক্র। এই গভীর সামাজিক সমস্যার মোকাবিলায় শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকদের এগিয়ে আসতেই হবে।“