
সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা, ১৩ মার্চ: মদ্যপ অবস্থায় নিজের কাকিমাকে মাথায় হাতুড়ি মেরে খুনের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে পর্ণশ্রীর রবীন্দ্র নগরের ঘটনা। ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় নমিতা দত্ত (৬৫) কে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী শুভাশিস দত্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের ওয়ারলেস বিভাগের টেকনিক্যাল স্টাফ পদে কাজ করতেন শুভাশিস। কিন্তু কোনও কারণে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার বাবা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। সম্পত্তিগত বিবাদ নিয়ে বাড়িতে কিছু অশান্তি চলছিল বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। যদি এটিই খুনের কারণ কিনা সে সম্বন্ধে এখন নিশ্চিন্ত নন তদন্তকারীরা।
পুলিশ জানিয়েছে বৃহস্পতিবার রাত নটা নাগাদ ফণীন্দ্রনাথ দত্ত বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে থানায় ফোন আসে ওই ব্যক্তি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এক তলার পূজোর ঘরে বসে বাসন মাজ ছিলেন তার স্ত্রী নমিতা। অভিযুক্ত শুভাশিস নিজের ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন। আর তিনি ওপরের শোয়ার ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
আচমকাই স্ত্রীর আর্তনাদ শুনতে পেয়ে নিচে দৌড়ে যান ফণীন্দ্রনাথ বাবু তিনি দেখেন একটি হাতুড়ি নিয়ে তার স্ত্রী তথা নিজের কাকিমা নমিতা দেবীর মাথায় ক্রমাগত মেরে চলেছে শুভাশিস। এরপরেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন নমিতা দেবী। তারপরে ঘটনাস্থলেই বসে পড়ে সে। মহেশতলার ২ নম্বর রবীন্দ্রনগর এলাকার এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খুনের পর অভিযুক্ত নির্লিপ্তভাবে নিজের বাড়িতে ঢুকে যান বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের।
পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, শুভাশিস রোজই পরিবারের সকল সদস্যদের ওপর অকথ্য অত্যাচার চালায়।
নমিতাদেবীর আর্তনাদ শুনে ঘরে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। চিৎকার শুনে উপস্থিত হন পাড়ার লোকেরাও। স্থানীয়দের সহযোগিতায় গুরুতর আহতকে নিয়ে আসা হয় বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় পর্ণশ্রী থানায়। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মী শুভাশিসের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা।