২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগেই সাধারণের জন্য খুলে যাবে অযোধ্যার রামমন্দির

আমাদের ভারত, ২৫ অক্টোবর: লোকসভা নির্বাচনের আগেই ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ভক্তদের জন্য অযোধ্যার রাম মন্দির খুলে যাবে। নির্মীয়মান মন্দিরের মূর্তি স্থাপন করার পরে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে।

ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের সম্পাদক চম্পত রাই জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত মন্দিরের অর্ধেক কাজ শেষ হয়ে গেছে।তিনি বলেন, ভক্তদের দর্শনের জন্য ২০২৪-এর জানুয়ারি থেকে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হবে। তবে তার আগে প্রধান কাজ রামলালার মূর্তির মূল মন্দিরের স্থাপন করা।

মকর সংক্রান্তির দিন রামলালার মূর্তি স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মন্দিরের প্রথম তলের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যাবে। ২০২৪-এর ১৪ জানুয়ারি রামলালার মূর্তি স্থাপিত হবে মূল মন্দিরে।

রাম মন্দির তৈরিতে ১৮০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে মন্দির চত্বরে আরও একাধিক দেবদেবীর মূর্তি ও মন্দির থাকবে। রামলালা আর মূল মন্দির ঘিরে ৬ টি মন্দির থাকবে সেগুলি হল ব্রহ্মা মন্দির, সূর্য মন্দির, গণেশ মন্দির, শিব মন্দির, বিষ্ণু মন্দির, দুর্গা মন্দির। ২০২০ সালের ৫ আগস্ট অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জুনে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রথম পাথরটি গাঁথেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ৫০০ বছরের সংগ্রাম সফল হলো।

জানা যাচ্ছে, মন্দিরের দেওয়ালে বসবে রাজস্থানের গোলাপি রঙের বেলে পাথর। এছাড়া কর্ণাটক থেকে এসেছে গ্রানাইট। মির্জাপুর থেকে এসেছে বেলেপাথর। রাজস্থান থেকে এসেছে মার্বেল পাথর। রাজস্থানের বন্সি পাহাড়পুর থেকে এক লক্ষ ঘন ফুট শ্বেতপাথর এসেছে মন্দির নির্মাণের কাজের জন্য। মন্দিরের গর্ভগৃহে থাকবে রাজস্থানের মাকরানা পাহাড় থেকে আনা বিশেষ সাদা মার্বেল।

অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কাজ করছে এল অ্যান্ড টি। গোটা প্রক্রিয়ায় নজরদারির কাজ করছে টাটা কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ারস। এছাড়াও রয়েছে একাধিক বিশ্ব বিখ্যাত নির্মাণ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ। মোট ১১০ একর জমিতে মন্দির নির্মাণের জন্য ৯০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। মন্দির চত্বরে একটি জাদুঘর ও গবেষণাগার ও আর্কাইভস থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *