আমাদের ভারত, ২৩ এপ্রিল : বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর গ্রাসে মানবকুল। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। আমাদের দেশেও থাবা বসিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। ইতিমধ্যেই ২১ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ৬৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পৃথিবীর একাধিক দেশের বড় বড় বিজ্ঞানী গবেষকরা এখন দিনরাত এক করে চেষ্টা করছেন করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে। তার মধ্যে হিন্দু বেনারস ইউনিভার্সিটি দাবি করল আয়ুর্বেদিক ওষুধ ফিফাট্রল রুখে দিতে পারে এই মারণ ভাইরাসকে।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ ফিফাট্রল নিয়ে ইতিমধ্যেই পরীক্ষা শুরু হয়েছে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে। গবেষকরা দাবি করেছেন এই ইমিউনো বু্স্টিং ড্রাগ করোনা রোগীদের শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলবে।
আয়ুস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট টাস্ক ফোর্সের উদ্যোগে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে করোনা প্রতিরোধে আয়ুর্বেদিক ওষুধ নিয়ে গবেষণা চলছে। এবার এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হতে চলেছে।
ফিফাট্রল সাধারণত ব্যবহার করা হয় ফ্লু কিংবা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের ক্ষেত্রে। গবেষকদের আশা এই ঔষধি করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং মানব শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে।
করোনা চিকিৎসায় আয়ুর্বেদিক ওষুধ ভালো কাজ করতে পারে বলে দাবি করেছে ইউনিভার্সিটি। ফিফাট্রল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফিফাট্রল সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রব্যগুণ বিভাগের প্রধান ও প্রোজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ডক্টর কে এন দ্বিবেদী। তিনি বলেন, বলেছেন শ্বাস জনিত রোগের চিকিৎসায় ফিফাট্রল উপকারী। যেহেতু সার্স কব ২ ভাইরাস সংক্রমণের রোগীদের মধ্যে সিভিআর অ্যাকিউট রেস্পিরাটরি সিমরান দেখা যাচ্ছে তাই আশা করা যায় এই ওষুধ সংক্রমণ কমাতে কিছুটা হলেও কাজে দেবে। এখন করোনা রোগীদের কতটা পরিমাণে, কত দিনের বিরতিতে ওষুধ দিতে হবে তার একটা প্রটোকল ঠিক হচ্ছে। এই প্রটোকল কেন্দ্রের টাস্কফোর্সের কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন পেলে তবে রোগীদের ঔষধ খাওয়ানো হবে।
এদিকে ফিফাট্রল ওষুধকে করোনা প্রতিরোধে কার্যকরী বলে দাবি করেছে ভোপালের এমসও। তাদের দাবি যে কোন অ্যালাপ্যাথিক অ্যান্টিবায়োটিকের থেকে এই ওষুধ বেশি কার্যকরী হতে পারে করোনা রোগীর উপরে।
Ok