আমাদের ভারত, মুর্শিদাবাদ, ১৮ নভেম্বর: একদিনের ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন রাজ্যপাল। নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী মন্দির ও হাজারদুয়ারী পরিদর্শনের পর বহরমপুর সার্কিট হাউসে এদিন দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি প্রথমেই মুর্শিদাবাদের জেলাপরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেনের নিরাপত্তা রক্ষী প্রত্যাহার নিয়ে সমালোচনা করেন। বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবে নিরাপত্তা প্রত্যাহার প্রজাতন্ত্রের মূলে কুঠারাঘাত। রাজ্যসরকার সংবিধানের বিধি মোতাবেক কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেন।
নিজের সাংসদীয় অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করে রানাঘাটে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে শহীদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে না দেওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। জনপ্রতিনিধিত্বের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে দাবী করেন। একই সাথে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্য প্রশাসনের কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি দাবী করেন, ইতমধ্যেই বেশ কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকের আচরণ বদলেছে, আগামীতে আইন মোতাবেক প্রশাসন না চললে তাদের জন্যে খারাপ দিন অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল। করোনা কালে কৃষকদের প্রাপ্য ডাইরেক্ট বেনিফিসিয়ারী স্কিমে রাজ্য সরকার মিডিল ম্যান হতে চেয়ে প্রকল্প থেকে রাজ্যের কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের খরচ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। রাজ্য সরকারের তরফে বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের খরচ ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রশ্ন তুলে তিনি চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্য সরকারকে। সেই চিঠির উত্তর না আসায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজনৈতিক নেতাদের পরিচালনায় চলা কিছু জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক করেন। তারা আগুন নিয়ে খেলা করছেন বলে মন্তব্য করেন, একই সাথে মুর্শিদাবাদের জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপার না আসায় তিনি উষ্মা প্রকাশ করেন। পশ্চিম বঙ্গের ঐতিহ্য, আতিথেয়তা, কৃষ্টি সংস্কৃতির প্রশংসা করে তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতিও সমান ভাবে শ্রী ময় হোক বলে কামনা করেন।