সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২২ সেপ্টেম্বর: বাঘমুন্ডিতে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারল না বিজেপি। শেষ পর্যন্ত হল হাতছাড়া। ক্ষমতায় এল তৃণমূল। এই প্রথম বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি দখল করলো তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সমিতির আস্থা ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন তৃণমূলের সদস্য ক্ষুদিরাম কৈবর্ত্য। আস্থা ভোটে নিজেদের পক্ষে মোট ১৩টি ভোট পেয়ে তৃণমূল জয়ী হয়েছে বলে পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে। সেখানে একজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেয়।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২১ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৬ টি আসন, ৫ টি’তে জয় পেয়েছিল জাতীয় কংগ্রেস, ৯ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি এবং ১ টি আসন গিয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করেছিল বিজেপি। সমিতির সভাপতি হয়েছিলেন বিজেপির কার্তিক চালক। পরে চৈতন কুমার নামে এক বিজেপি সদস্য মারা যান এবং ৩ জন বিজেপি সদস্য যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। একই সঙ্গে কংগ্রেসের ৩ জন সদস্যও তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তৃণমূলের ১২ জন সদস্য সমিতির সভাপতির বিপক্ষে অনাস্থার ডাক দেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর অনাস্থার ভোটাভুটিতে তৃণমূলের ১২ জন সদস্য অনাস্থার পক্ষে ভোট দিলে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে সভাপতি পদ থেকে অপসারিত হন বিজেপির কার্তিক চালক।
এই অনাস্থার ভোটকে চ্যালেঞ্জ করে বিজেপি আদালতে আবেদন করলে আদালত বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সেই স্থগিতাদেশও উঠে যায়। সেই থেকেই আটকে ছিল বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। বোর্ড গঠনের এই বিজয়োল্লাসে উপস্থিত ছিলেন বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো। তাঁকে সামনে রেখে সবুজ আবীরে মেতে উঠেন তৃণমূলের সদস্য ও নেতা কর্মীরা।