
আমাদের ভারত, বালুরঘাট, ৬ ডিসেম্বর: বালুরঘাটে স্পিড ব্রেকারের বাড়বাড়ন্তে বাম্পের শহর বলে ট্রোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্পন্ডেলাইসিসের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ফিজিওথেরাপিস্টিরা। দুর্ঘটনা রুখতে সাধারণ মানুষের দাবি মেনে নিয়েই এমন কর্মসূচি দাবি ট্রাফিক পুলিশের।
ডিএসপি ট্রাফিক অরিন্দম পাল চৌধুরী জানান, দুর্ঘটনা বন্ধ করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষই এলাকায় এলাকায় স্পিড ব্রেকার বসানোর দাবি জানাচ্ছেন। আর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই ট্রাফিক পুলিশ এমন স্পিড ব্রেকার বসাচ্ছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার পথ দুর্ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনকে দুর্ঘটনা কমাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবারও নির্দেশ দেন তিনি। আর যার পরেই এক প্রকার তড়িঘড়ি প্রায় ৮ হাজার স্পিড ব্রেকার আনা হয় বালুরঘাটে। বিগত এক মাস ধরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় সাড়ে সাত হাজার স্পিড ব্রেকার বসানো হয়েছে বিভিন্ন রাস্তায় বলে দাবি ট্রাফিক পুলিশের। যে পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত পথ চলতে সমস্যায় পড়ছেন মোটর বাইক আরোহী থেকে ছোটো ছোটো যান বাহন সবই। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সগুলিকেও। বিশেষ করে গোটা জেলাজুড়ে এমন হাম্পের বাড়বাড়ন্তে নাভিশ্বাস ওঠবার জোগাড় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রসূতি মহিলাদের চলাচলের ক্ষেত্রে। অসুস্থ রোগীদের ক্ষেত্রে যে কোন যানবাহনে চলাচলই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন বাম্পের জেরে। এমন সব বিষয় নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে কিছুটা কাঠগড়য়ায় দাঁড় করিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করছেন সাধারণ মানুষ। কেউ বলছেন বালুরঘাট এখন বাম্পের শহর। কেউ বা বলছেন বালুরঘাটের উন্নয়ন মানেই রাস্তায় যেখানে সেখানে বাম্পের গড়াগড়ি। অনেকে আবার এই বলেও ঠাট্টা করছেন যে, আগামীতে পরীক্ষায় প্রশ্ন আসতে পারে বাম্পের (স্পিড ব্রেকার) শহর কাকে বলা হয়? যার উত্তর হবে বালুরঘাট। এদিকে শহরজুড়ে এমন হাম্পের বাড়বাড়ন্তে কিছুটা অশনি সংকেত শুনেছেন ফিজিও থেরাপিস্টরাও। তাদের দাবি এমন হাম্পে সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের চলাচলে কোমরে স্পন্ডালাইটিস যেন একপ্রকার নিশ্চিত।