সকাল থেকেই রাস্তায় সিপিএম কংগ্রেস এসইউসিআই, ট্রেন ও রাস্তা অবরোধ করে বনধ সফলের চেষ্টা দক্ষিণ ২৪ পরগণায়

আমাদের ভারত, দক্ষিন ২৪ পরগনা, ২৬ নভেম্বর: আজ সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় নেমে বনধ সফলের চেষ্টা করলেন বাম, কংগ্রেস, এসঅইউসিআই কর্মীরা।

সকাল থেকে ক্যানিং, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, জয়নগর এলাকায় বনধের সমর্থনে বাম ও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় মিছিল করেন। ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ে এসে তাঁরা রাস্তা অবরোধ করেন সকাল ৬ টা নাগাদ। রাস্তায় দলীয় পতাকা লাগিয়ে বেঞ্চ পেতে শ্লোগান দিতে থাকেন বনধ সমর্থকরা। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ক্যানিং বারুইপুর ও ক্যানিং হেড়োভাঙা রোড।

জয়নগরের দক্ষিন বারাসত এলাকায় ও রাস্তা অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। ডায়মন্ড হারবার এলাকায় বাজার ও স্টেশন চত্বরে বনধের সমর্থনে মিছিল ও রাস্তা অবরোধ করেন বাম কর্মী সমর্থকরা। তবে বনধ সমর্থকদের বুঝিয়ে প্রথমে বনধ প্রত্যাহার করতে বলেন পুলিশ কর্মীরা। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় এদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেশ কয়েকজন বনধ সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।

অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদহ দক্ষিন শাখার ক্যানিং লাইনের বেতবেড়িয়া স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন এসইউসিআই কর্মী সমর্থকরা। বনধের সমর্থনে সকাল ৬ টা থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত চলে ট্রেন অবরোধ। পরে রেল পুলিশ এসে সেখানে লাঠি চার্জ করে সরিয়ে দেয় অবরধকারিদের। ধীরে ধীরে এই শাখায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেন বন্ধ করার অপরাধে বেশ কয়েকজন বনধ সমর্থককে আটক করে রেল পুলিশ।

একইভাবে এদিন শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ডায়মন্ড হারবার লাইনের সংগ্রামপুর স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ওভারহেডের তারে কলাপাতা দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করেন বনধ সমর্থকরা। লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনেও একাধিক জায়গায় ট্রেন অবরোধ করা হয়। পরে অবশ্য রেল পুলিশের হস্তক্ষেপে ওঠে অবরোধ। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। এছাড়া এদিন রাস্তাঘাটে সেভাবে বাস চলাচল করেনি। ফলে মানুষজন রাস্তায় বেরলেও পর্যাপ্ত যানবাহন না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয়। সকালের দিকে বনধের প্রভাব খানিকটা পড়লেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই বনধের প্রভাব ফিকে হয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *