অশোক সেনগুপ্ত, আমাদের ভারত, ৯ মে: ‘নিরলস সাহিত্যচর্চা’র জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলা আকাদেমী পুরস্কার দেওয়া হল। তাঁর ‘কবিতাবিতান’ কাব্যগ্রন্থকে স্মরণে রেখে সোমবার এই ঘোষণা করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেলে এই খবর আসার পর প্রথম এক ঘন্টায় লাইক, মন্তব্য ও শেয়ারের সংখ্যা হয়েছে যথাক্রমে ৪ হাজার ৮০০, ৭৬১ ও ১৯১। হরেক ভাবের হাস্যমুখে (স্মাইলি) মনোভাব জানিয়েছেন নেটানাগরিকরা। প্রায় সব কটি মন্তব্যেই ব্যঙ্গবর্ষণ।
বাম শ্রমিক সংগঠন ইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষ প্রতিক্রিয়ায় এই প্রতিবেদককে জানান, “আপ্লুত হয়ে বলছি, ওর কবিতা বোঝার যোগ্যতা বাঙ্গালির নেই। অনুবাদ করে নোবেল পুরস্কারের জন্য পাঠানো হোক। বিশ্বব্যাপী সমাদর হবে। সুশীল সমাজ অনুবাদ করুন।”
সোনিয়া দেব মুখার্জি ফেসবুকে লিখেছেন, “পিসির সাথে পুরো বাংলা অ্যাকাডেমিকে নোবেল দেওয়ার আবেদন করছি, সাথে অস্কার মস্কার আর যা যা আছে সব দিয়ে দেওয়া হোক।” আলতাফ লস্কর লিখেছেন, “বিশ্বচোর-এর পুরস্কারটাও দেওয়া হোক। প্রদীপ কুমার পাল লিখেছেন, “বুকার প্রাইজটাই বা বাকি থাকে কেন?” সোমরূপ দাশগুপ্ত লিখেছেন, “রবীন্দ্র পরবর্তী এক উজ্জ্বল স্বতঃস্ফূর্ত অকল্পনীয় প্রতিভার অধিকারিণী।”
সুপর্ণা চক্রবর্তী লিখেছেন, “বাংলায় নিজের পুরষ্কার নিজেই নেওয়া হয়।” দীপায়ন পাল লিখেছেন, “সাহিত্যের উপর থেকে আমার বিশ্বাস উঠে গেল।” জয়দেব পোদ্দার লিখেছেন, “সাহিত্য চর্চাতে ওনার ওপর থিসিস হবে এবার! নাটক তো শুরু। রবীন্দ্রনাথ অবনীন্দ্রনাথ এদের লেখা আঁকা ওনার কাছে কিসসু নয়!”
মহম্মদ আর আলম লিখেছেন, “সর্বোপ্রতিভার অধিকারিণী আমাদের মাননীয়ার জন্য সত্যিই আমরা গর্বিত। নোবেল প্রাইজেরও দাবি রাখছি।তার সঙ্গে অস্কারের। বিরোধীরা আমাকে চটিচাটা বলতে পারে।কিন্তু আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো একসঙ্গে অনেকগুলো প্রতিভার অধিকারিণী (চিত্রকর, গায়িকা, বহুভাষাবিদ ইত্যাদি ইত্যাদি) কয়েকশত বছরে এক-দুবারই জন্মায়। তাই প্রতিভাকে সম্মান করতে শিখুন।”
নিবেদিতা মৈত্র মুখার্জি লিখেছেন, “আজকের সেরা খবর! রবি ঠাকুরের নোবেলটা খুঁজে এনাকে দেওয়ার আবেদন করছি।” প্রশান্ত বিকাশ রায় লিখেছেন, “শতাব্দীর সেরা ফাজলামি!” দেবাঙ্ক মুখার্জি লিখেছেন, “এটা দেখার পর মনে হচ্ছে আমি ক্রিকেট খেললে শচীন, ফুটবল খেললে পেলে আর সিনেমা করলে শাহরুখ খান হতে পারতাম।”
সুকান্ত সরকার লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের সাথে সাহিত্য চর্চার কতটা দূর্গতি চলছে তা বোঝা যাচ্ছে।” মাণিক দে লিখেছেন, “বাংলা সাহিত্য একাডেমি খুব সাধারণ পুরষ্কার। আমাদের দাবি, নোবেল প্রাইজ চাই।” বিশ্বজিৎ মিশ্র লিখেছেন, “জানি না.. এমন সর্বজ্ঞানের বিরল প্রতিভার মানুষ….আর দ্বিতীয়বার বঙ্গ তথা এই দুনিয়াতে জন্মগ্রহণ করবে কি না.. সন্দেহ থেকে যায়! শেষে না বললেই নয়… ‘কবিতাবিতান’ নাম না রেখে ‘মমতাঞ্জলি’ নাম দিলে, অবধারিত ‘নোবেল’ আসতো! শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।” মজহারুল হক লিখেছেন, “খুবই লজ্জাজনক একটা বিষয়। নোবেল চুরির কথা বলতে বলতে শেষ পর্যন্ত চুরি করেই পুরস্কার নিয়ে নিল। মজাদার বিষয়।”
ঝড়ের মত বেড়ে চলেছে সংশ্লিষ্ট পোস্টে মন্তব্য।