
আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: জল না পানি— ভাষা দিবসে শিল্পী শুভাপ্রসন্নের মন্তব্যের জেরে শুরু হওয়া এই বিতর্ক এখনও চলছে। বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করলেন সমাজকর্মী-অধ্যাপক ডঃ মোহিত রায়।
মোহিতবাবুর কথায়, “প্রথমেই বলে নেওয়া ভাল যে বাংলা মাতৃভাষা হলেই সে বাঙালি হয়ে যায় না। বাঙালি হতে হলে তাকে পাঁচ হাজার বছরের ভারতীয় সংস্কৃতির উত্তরাধিকারের অংশ হতে হয়। বাংলাভাষী মুসলমানদের অধিকাংশ সেজন্যই বাঙালি নন। তাঁরা সেটা জানেন বলেই নিজেদের সন্তানদের নাম রাখেন আরবী ফার্সিতে, নমস্কার বলেন না বলেন সেলাম আলাইকুম।
যে কোনও ভাষায় বিদেশী শব্দর প্রবেশ স্বাভাবিক, তা ভাষাকে প্রসারিত করে। কিন্তু ইসলামী দখলদারী মানসিকতায় উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে বাংলাকে কলুষিত করা হচ্ছে দাওয়াত, আম্মা, আব্বা, পানি, আসমান এনে। এর পরবর্তী ধাপ হবে এই কলুষিত বাংলা ভাষাকেই বাঙালির ভাষা বলে দাবী করা, যা শুরু হয়ে গেছে।
রবীন্দ্রনাথ সেই ১৯৩৪ সালেই বলে গেছেন – “আজকের বাংলা ভাষা যদি বাঙালি মুসলমানদের ভাব সুস্পষ্ট রূপে ও সহজভাবে প্রকাশ করতে অক্ষম হয়, তবে তাঁরা বাংলা পরিত্যাগ করে উর্দু গ্রহণ করতে পারেন।” “শুধু মানুষের অনুপ্রবেশ নয় এই ভাষা অনুপ্রবেশকেও বিতাড়িত করতে হবে।”