রাজ্যে চাকরিতে বাঙালিদের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানাবে ‘বাংলা পক্ষ’, ভেঙে তৈরি সংগঠন

চিন্ময় ভট্টাচার্য
আমাদের ভারত, ৭ ফেব্রুয়ারি: এরাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারি, রাজ্য সরকারি, বেসরকারি চাকরিতে বাঙালির জন্য সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করার দাবিকে সামনে রেখে অনেকদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ বিরোধে নাজেহাল হয়ে উঠেছিল ‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠন। এবার সেই দাবিকে ঘিরে টানাপোড়েনে ওই সংগঠন ভেঙে গেল। বাঙালি জাতিকে জাতীয়তাবাদের দিশা দেখাতে তৈরি হয়েছিল ‘বাংলা পক্ষ’। ওই সংগঠন ভেঙে যে নতুন সংগঠন তৈরি হতে চলেছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি তা আত্মপ্রকাশ করবে। খুব শীঘ্র কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠক করবে এই নতুন সংগঠন। সেই সাংবাদিক বৈঠকেই, বাঙালি জাতির স্বার্থে লড়াইয়ের জন্য গঠিত নতুন এই সংগঠনের নামও ঘোষিত হবে।

এই নতুন সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন সুলগ্না দাশগুপ্ত। দীর্ঘদিন তিনি ‘বাংলা পক্ষ’র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আর তাতেই সুলগ্নারা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন যে, ‘বাংলা পক্ষ’ কোনওদিনই বাঙালিকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করার কথা বলবে না। আর, এখানেই গর্গ চট্টোপাধ্যায়দের ‘বাংলা পক্ষ’ সংগঠনের সঙ্গে তাঁদের বিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল। সুলগ্নারা বাঙালির জন্য এমনধারার জাতীয়তাবাদী সংগঠন চান, যে সংগঠন গোটা বাঙালি জাতিকে আর্থিক ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাবে। এদিন ফোনে এমনটাই জানান বাঙালি জাতীয়তাবাদী নবগঠিত সংগঠনের অন্যতম নেতা অভিজ্ঞান সাহা।

এখন চলছে এই সংগঠনের নাম নথিভুক্তির পালা। তাই, নতুন এই সংগঠনের নাম প্রকাশ করতে চাইছেন না অভিজ্ঞানরা। তাঁরা নামপ্রকাশের অংশটুকু তুলে রাখছেন কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকের জন্য। তবে তাঁরা এটুকু জানাচ্ছেন, নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশের পর বাঙালির নেতৃত্বাধীন বিভিন্ন সংস্থার কর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন এই সংগঠনের সদস্যরা। ওই সব কর্তাদের, নিজেদের সংস্থায় বাঙালিদের চাকরি দেওয়ার আবেদন জানাবেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন বাঙালি সংস্থা যাতে একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে, সেই জন্যও তাঁরা সচেষ্ট হবেন বলে, নতুন এই সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here