নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার, ২৩ জুলাই: নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে বহাল তবিয়েতেই ভারতে এসে বসবাস শুরু করেছিল বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার সাহাপাড়ার ফাঁসির সাজা প্রাপ্ত আসামি রনি ঘোষ, কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে স্ত্রীকে হত্যা করার প্রায় ৮ বছর পর পুলিশের হাতে ধরা পড়ল রনি ঘোষ। বর্তমানে সে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
নাজিরহাট থেকে গত মংগলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর প্রায় ৬ মাস ধরে সে নাজিরহাটের এক আত্মীয়র বাড়িতেই ঠাঁই নিয়েছিল। সেখানে জমিও কিনে নেয় সে। যদিও অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়েই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
এই গল্প সিনেমাকেও হার মানাবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ সেপ্টেম্বর , ২০১৩ সালে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল এলাকার বাসিন্দা রনি ঘোষ তাঁর স্ত্রী মন্টি ঘোষকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে যৌতুক নিয়ে ঝামেলা চলছিল। ঘটনায় গ্রেফতার হয় রনি ঘোষ। সে জামিনও পায়। এর পরেই সেখান থেকে পালিয়ে যায় সে। অবশেষে টংগাইল আদালত গত বছর অক্টোবরে দোষি রনি ঘোষের ফাঁসির সাজা শোনায়। কিন্তু সে নিখোঁজ থাকায় তা কার্যকরি করতে পারেনি।
এরই মধ্যে এই সুত্রে মারফৎ খবর আসে দিনহাটা থানার আইসি সঞ্জয় দত্তের কাছে। তিনি বিষয়টি জানান সাহেবগঞ্জ থানার ওসিকে, এর পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে তাদের সংগে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি। অনুপ্রবেশকারি হিসেবেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে সেই ভাবেই মামলা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কি ভাবে একজন বাংলাদেশের নাগরিক অপরাধ করে এসে এত দিন ধরে ভারতে এসে রয়েছে, আবার এখানে জমিও কিনেছেন। এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।