সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৮ সেপ্টেম্বর: এক আদিবাসী যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে দশ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বা়ঁকুড়া আদালতের বিচারপতি মালতী কর্মকার। অভিযুক্ত ব্যক্তির দশ বছরের কারাবাসের সাথে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছমাস কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
২৮/৬/৯৫ তারিখে বাঁকুড়া জেলার রায়পুর থানার রায়ডি গ্ৰামে অভিযুক্ত তপন মান্ডি ঐ আদিবাসী যুবতীকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করে। বাঁকুড়া আদালতের সরকারি আইনজীবী অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, ঐ গ্ৰামের বাসিন্দা বদনী মুর্মুর শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার সেবা শুশ্রূষা করার জন্য তার বোন রায়ডি গ্ৰামে আসেন।ঘটনার দিন বদনীর স্বামী হাটে যায় বলে বাড়ি ফিরতে দেরী হয়, বদনী জিনিস আনতে গ্ৰামের মুদিখানার দোকানে গিয়েছিল। সেই সুযোগে তপন বদনীর বাড়িতে ঢুকে ওই যুবতীর উপর চড়াও হয় ও তাকে ধর্ষণ করে। দিদি অর্থাৎ বদনী বাড়ি ফিরলে তাকে সব ঘটনা খুলে বলে তার বোন। রাতে বদনীর স্বামী বৈদ্যনাথ বাড়ি ফিরলে তাকেও সব জানানো হয়।তারপর দিন রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এদিকে অভিযুক্ত তপন গা ঢাকা দেয়। দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ানোর পর সে ধরা পড়ে। তারপর তাকে আদালতে হাজির করানো হয়। বাঁকুড়া আদালতের অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারপতি মালতী কর্মকার দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষীর ভিত্তিতে আসামী তপন মান্ডিকে দোষী সাব্যস্ত করে তার কারদন্ড ঘোষণা করেন।