
আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৮ জানুয়ারি:
২০০৭ সালে ১২ বছরের এক বালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়। তার পরনের সোনার কানের দুল খুলে নেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় নাম জড়ায় তার নিকট আত্মীয় তিনজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সোনারপুর থানার ও অন্তর্গত বনহুগলী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিয়ারি মালপাড়া এলাকায়। সেই ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজন গ্রেফতারও হয়। ধৃতদের মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তার জুভেনাইল কোর্টে বিচার চলছে। অন্য দুই অভিযুক্ত সাবিরালি লস্কর ও পালান আলি লস্করের বিচার চলছিল বারুইপুর জেলা ও ফাস্টট্রাক আদালতে। সেখানে মঙ্গলবার এই দুই অভিযুক্তকে পরিকল্পিত ভাবে খুন, অপহরণ, তথ্য প্রমাণ লোপাট সহ একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে এই দুই অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা শোনান বারুইপুর জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক রমেন্দ্রনাথ মাখাল। গত ২০১২ সাল থেকেই এই আদালতে বিচার চলছিল অভিযুক্ত দুজনের। স্থানীয় সুত্রে খবর, অভিযুক্তরা সম্পর্কে মৃতার দাদা হয়।
এদিন রায় ঘোষণার আগে বিচারক রমেন্দ্রনাথ মাখাল বলেন, “ নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে ঐ কিশোরীকে। দাদা সম্পর্কে বোনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। আজ বোনরা দাদাদের কাছেও সুরক্ষিত নয়। তাই এই অপরাধের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি”। এরপরেই বিচারক দুই অভিযুক্ত সাবির আলি লস্কর ও পালান আলি লস্করের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন। এদিন আদালত চত্বরে অভিযুক্তদের পরিবারের কাউকেই দেখা যায়নি। তবে আদালতের এই রায়ে খুশি নিহতের পরিবার। এদিন নিহত ঐ কিশোরীর কাকা বলেন, “ বিচার ব্যবস্থার উপর আমাদের আস্থা ছিল। জানতাম ন্যায় বিচার আমরা পাবোই। আজ বিচারক ওদের ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন, আমরা খুশি। এই ধরণের অপরাধ যাতে আর কেউ না করে তার জন্য এই শাস্তি দরকার ছিল”।