
আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২৫ মার্চ: লকডাউন না মেনে রাস্তায় বেরলেই জুটছে পুলিশের ধোলাই। সাড়া রাজ্যেই এই চিত্রটা কার্যত এক। কিন্তু এরই মধ্যে ধোলাইয়ের পাশাপাশি কান ধরে উঠবস’ও করতে হচ্ছে আইন অমান্যকারীদের। বুধবার সকাল থেকে এই ছবি ধরা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার সমগ্র বারুইপুর জুড়েই।
এদিন সকালে বারুইপুর আরওবির মুখেই ট্রাফিক পুলিশ গার্ড ও সাধারণ পুলিশ কর্মীরা নাকা চেকিং শুরু করেন এলাকায়। সেই সময় সেখান দিয়ে যারা যারা লকডাউন আইন অমান্য করে পথে বেড়িয়েছিলেন সেই সমস্ত মানুষজনকে চিহ্নিত করে তাদের বেধড়ক মারধরের পাশাপাশি রাস্তায় সকলের সামনেই কান ধরে উঠবস করালেন পুলিশ কর্মীরা। করোনা মোকাবিলার জন্য আগামী ২১ দিন যাতে বাড়ি থেকে জরুরি দরকার ছাড়া কেউ না বের হন সেই কারণেই পুলিশ এই উদ্যোগ নিয়েছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত ক্যানিং, কাশিপুর, জয়নগর, নরেন্দ্রপুর সব থানা এলাকাতেই পুলিশকে এদিন এই মেজাজে দেখা গিয়েছে। তবে এদিন সকাল দশটা পর্যন্ত পুলিশ সেভাবে রাস্তায় নামেনি। সাধারণ মানুষ যাতে দৈনন্দিন জিনিষপত্র কিনতে দোকান, বাজারে যেতে পারেন সেই কারণে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথেই পুলিশ রাস্তায় টহলদারি শুরু করে। যে সমস্ত গাড়ি, মানুষজন, বাইক রাস্তায় জরুরি দরকার ছাড়া বেড়িয়েছিল তাদের চিহ্নিত করে লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন পুলিশ কর্মীরা। পাশাপাশি আগামী দিনে যাতে এই লকডাউন আইনের তারা কোনও রকম অমান্য না করেন সেই বার্তা দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান পুলিশ কর্মীরা। এরপরেও যদি মানুষ না শোনেন তাহলে পুলিশ আরও কড়া ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রসিদ মুনির খান বলেন, “করোনা ভাইরাস যাতে সংক্রামণ ছড়াতে না পারে সেই কারণে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। পুলিশ কর্মীরা সাধারণ মানুষকে সুস্থ রাখতে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে রাস্তায় রয়েছেন। মানুষকে সচেতন করা হলেও তারা শুনছেন না। তাই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে কাজ না হলে আগামীদিনে লকডাউনকে সফল করতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেবে পুলিশ”।