লকডাউনের আগে হুগলীতে বাজার দোকানে উপচে পড়ল জনতার ভিড়

আমাদের ভারত, হুগলী, ২৩ মার্চ: গতকাল ঘোষণা তো হয়েছিল, কিন্তু কতটা সার্থক করা যাবে তা নিয়ে মতবিরোধও ছিল। সোমবার সকাল থেকে প্রচারও করা হল প্রশাসনের তরফ থেকে। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রকম করে। কিন্তু ওই যে মৃত্যুর ভয়, তা কি কেউ অবহেলা করতে পারে! তাই যে কোনো পুজো অনুষ্ঠানের দিন থেকে আরোও কয়েকধাপ এগিয়ে গেলেন সাধারণ মানুষ। বাজার দোকান খোলার আগেই হামলে পড়ল জনতার ভিড়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সব সাফ, যে ব্যবসায়ীর সারা বছর খুব খারাপ বাজার যায় তার দোকানও প্রায় ফাঁকা, যে যেমন পারলেন যতটা সম্ভব হল সংগ্রহে রাখলেন দৈনন্দিন ব্যবহার্য্য জিনিসপত্র।

তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের তৎপরতাও চোখে পড়ার মত। লকডাউনের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল জেলার কয়েকটি পুরসভা। সোমবার সকালে জেলার বাকি সব পুরসভাও লকডাউনের আওতায় আনা হয়। তাই ছুটি না কাটিয়ে এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সচেতন করতে নেমে পড়লেন কোনো কোনো কাউন্সিলর। ডানকুনি পুরসভার উপপৌরপ্রধান দেবাশিষ মুখার্জি প্রচারের পাশাপাশি বিনামূল্যে মাস্ক বিলি এবং এলাকা পরিষ্কার করার দিকে যেমন জোর দিলেন তেমন শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলর গৌর মোহন দে’ও নেমে পড়লেন তার ওয়ার্ডের নাগরিকরা কেমন আছেন তার খবর নিতে। বাজার এলাকায় তার ওয়ার্ডের দোকান গুলি যাতে বন্ধ রাখা হয় লকডাউনের সময় সে অনুরোধও করা হয়। লকডাউনের সময় কি কি করা উচিত কি উচিত নয় তা বুঝিয়ে বলা হয়।

এদিকে বিকাল পাঁচটায় লকডাউন শুরু হতেই শুনশান গোটা জেলা। খুব প্রয়োজন ছাড়া জেলার বেশীরভাগ দোকানপাট বন্ধ। রাস্তায় নেই মানুষ জনের দেখা। প্রশাসনের অনুরোধ হোক বা মৃত্যুভয়!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *